বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে (সর্বশেষ তথ্য)

অকল্পনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড। অনেকের কাছে এই দেশটি স্বপ্নের মত। স্বপ্নের এই দেশটিতে যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ড ভিসার আবেদন করার পূর্বে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে সেটা সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে অবগত হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে

উল্লেখ্য, এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ বেতন প্রদানের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। দেশটিতে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের কাজের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। তবে দেশটির ভিসা পাওয়া তুলনামূলক অনেক বেশি কঠিন। কিন্তু, একেবারে অসম্ভব নয়।

সুইজারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে আপনিও পেতে পারেন ভিসার অনুমোদন। এজন্য আপনাকে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে শিরোনামে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি শব্দ পড়তে হবে। তাহলে সুইজারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে

বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে, সেখানে যেতে হলে এটা তো ভাবনায় আসবে ।পাশাপাশি আসবে কোন কাজে চাহিদা বেশি । কিভাবে যাব নানান প্রশ্ন আমাদের ঘিরে রেখেছে। যা কল্পনা করা যায় না এমন একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছেয়ে রয়েছে সুইজারল্যান্ড দেশটিকে। আমাদের কাছে দেশটি যেন এক স্বপ্নের মত। আর এই স্বপ্নের দেশটিতে যেতে হলে প্রথমে প্রয়োজন হয় ভিসার।

ভিসার আবেদন করার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে । সেই সম্পর্কে আপনাকে খুব ভালো করে তথ্য নিয়ে তবেই আপনাকে আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি অনলাইনে নিজে নিজে আবেদনটি করতে পারেন তাহলে সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য আনুমানিক খরচ হবে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নেন তখন দেখা যাবে যে আপনার খরচ বেশ উঁচুতে দাঁড়িয়ে গেছে । অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

তবে সঠিক তথ্য হচ্ছে এই যে, সুইজারল্যান্ড যেতে আসলে ঠিক কত টাকা লাগবে সেটা সঠিকভাবে কেউ তথ্য দিতে পারে না। সবচেয়ে ভালো হয় প্রবাসী কোন বন্ধু বা কাছের কেউ থাকলে ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নিয়ে আবেদন করা।

সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত এটা যখন জানতে ইচ্ছে করে , তখনই মনে সুইজারল্যান্ডের কোন এক ক্যাটাগরির ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছে জাগে বলেই জানতে ইচ্ছে হয়। শিল্প উন্নত দেশ ইউরোপে যার নাম সুইজারল্যান্ড। এই দেশে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

অনেকের আবার কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে। তাহলে আপনার অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিয়ে আপনি ভিসার কাজ সম্পন্ন করবেন। বর্তমানে দেখা গেছে যে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে পাড়ি দেন ।

সুইজারল্যান্ড পূর্বে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে যে সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি। অনেকে হয়তো সুইজারল্যান্ডের বর্তমান কাজের সম্পর্ক না জেনেই সেখানে যান। গিয়ে বুঝতে পারেন না তারা কোন কাজটি করবেন এবং কোন কাজটি তার জন্য ভালো হবে।

তাই আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে অনলাইনে সার্চ দিয়ে জেনে নিবেন। বিশেষ করে আপনি জেনে নিবেন সুইজারল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি। নিম্নে যেসব কাজের চাহিদা বেশি তার তালিকা দেওয়া হলোঃ
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • ডাক্তার
  • প্লাস্টিক বা রাসায়নিক চিকিৎসক
  • ফার্মাসিস্ট
  • নার্স
  • ড্রাইভিং
  • কন্সট্রাকশন
  • ক্লিনা
  • কৃষক
  • হোটেল রেস্টুরেন্ট কর্মী
  • plumber
  • ফুড ডেলিভারি সার্ভিস
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিক
  • পেইন্টার

সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত, যাওয়ার মনস্থির থাকলে এই প্রশ্নটা চলেই আসে মনের ভিতরে । আর তাই ভিসা করার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাবেন তখন আপনি সেনজেন ও জাতীয় ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

জাতীয় ভিসার মধ্যে রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে দেশটি সেনজেন ভুক্ত দেশ হলেও এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যভুক্ত দেশ হতে পারেনি। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য আপনি যখন ভিসা তৈরি করবেন ।

তখন আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভিসা ক্যাটাগরি থাকবে । মাথায় রাখতে হবে এই দেশের সরকার উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর থেকে ইউরোপে উচ্চ আয়েরের যে দেশগুলো আছে , সে দেশগুলোতে যাওয়া তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন হয়। অর্থাৎ ভিসা প্রসেসিং - এ দীর্ঘ সময় লাগে এবং জটিল হয়ে থাকে।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিচে উল্লেখ করা হলঃ
  • পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • স্কিল সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ট্রাভেল রেকর্ড
  • ব্লক মানি
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • রিকমেন্ডেশন লেটার
  • ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • বৈধ কাজের অফার লেটার
  • কভার লেটার

সুইজারল্যান্ড বেতন কেমন

সুইজারল্যান্ড হলো ইউরোপের একটি অন্যতম উচ্চ আয় সম্পন্ন দেশ । যেখানে ভিসা ক্যাটাগরি পছন্দ করতে গেলে প্রথমে মনে আসে সুইজারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত । তবে আপনার মনে রাখতে হবে, সুইজারল্যান্ডে শ্রমিক নিয়োগ করা হয় দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষিত দেখে।

উন্নত এই দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজে বেশ সুযোগ রয়েছে। তাই এদেশে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের চাহিদাও অনেক বেশি আছে । আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে আসার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কাজের জন্য বেতন কত তা আপনি জেনে নেবেন।
বর্তমানে দেখা গেছে যে সুইজারল্যান্ডে কাজের বেতন হয়ে থাকে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত । এটাও ঠিক যে কাজের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে এবং ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই দেশে যেহেতু কাজের অনেক সেক্টর রয়েছে তাই বিদেশী কর্মীদের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।

তাই কাজের ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা খুব প্রয়োজন। তাই অভিজ্ঞতামূলক কাজ দেখে আপনি ভিসা ক্যাটাগরি বেছে নিন। কারণ এখানে অভিজ্ঞ লোকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ড কোন কাজের বেতন কেমন

বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজগুলোর বেশি চাহিদা রয়েছে তার উপরে ভিত্তি করে বলা যায়, আপনি যে কাজগুলোর উপর অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট আছে্, সে কাজগুলোর উপরে ভিসা তৈরি করে সুইজারল্যান্ডে যেতে পারেন। কারণ ইউরোপের দেশগুলো অভিজ্ঞ লোকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত আপনি যখন সুইজারল্যান্ডে ভিসা ক্যাটাগরি পছন্দ করবেন তখন আপনার মাথায় আসবে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত । তবে দক্ষতা এবং উচ্চ শিক্ষিত দেখে সেখানেই লোক নিয়োগ করা হয়।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ,ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার্স‌ ফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও ওয়েব ডেভেলপার এদের কাজ এর চাহিদা সুইজারল্যান্ডে অনেক বেশি। এদের প্রতি মাসে বেতন পড়ে সুইজারল্যান্ডের সুইচ ফ্রাংক এর ৫৮০০ ফ্রাংক থেকে ৭০০০ ফ্রাংক পর্যন্ত।

যা বাংলাদেশী টাকায় পড়ে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার ডাক্তার প্লাস্টিক বা রাসায়নিক চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, ড্রাইভিং ও আইনজীবী এদের ভিসার উপরে সুইজারল্যান্ড যেতে পারলে তাদের মাসিক বেতন হবে আলাদা।

সুইজারল্যান্ড এর সুইস ফ্রাংক এর ৩৬০০ ফ্রাংক থেক.৫০০০ ফ্রাংক পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় চার লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আরো আছে যেমনঃ ড্রাইভিং , নার্স , কন্সট্রাকশন ও কৃষক এ কাজগুলোর উপরে ভিসার বেতন পড়বে, প্রতিমাসে সুইজারল্যান্ডের সুইচ ফ্রাংক এর ২৫০০ ফ্রাংক থেকে ৩২০০ ফ্রাংক পর্যন্ত।

যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা পর্যন্ত। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসাতে বিভিন্ন রকম বেতন শ্রমিকদের সুইজারল্যান্ডের সরকার দিয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

সুইজারল্যান্ড ইউরোপে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে কাজের জন্য যে প্রবাসী কর্মীদের নিয়োগ নেওয়া হয় তা, প্রবাসী সরকার কর্তৃক সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা নেই। এ দেশে প্রবাসীরা প্রতি মাসে কাজ করার পরে সর্বনিম্ন একটা অ্যামাউন্ট ইনকাম করে থাকে।

প্রতি ঘন্টায় কাজের বেতন দাঁড়ায় ২০ ডলার থেকে ২৭ ডলারের মধ্যে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখানে ওভারটাইম কাজ করতে পারেন। সেখানকার কর্মীদের ওভারটাইম কাজের বেতন সাধারণ বেতনের চেয়ে হলেও বেশ কিছুটা বেশী পায়। যা প্রায় ৪ লাখ টাকা।

সুইজারল্যান্ড পৃথিবীর একটি অন্যতম উচ্চ আয়ের দেশ। এই দেশে যেতে পারলে প্রবাসী হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম করতে পারার আপনি সুযোগ পাবেন। আর এক উন্নত দেশে বসবাস করার সাথে সাথে, নিজের জীবন ব্যবস্থাকে উন্নত করার বিশাল এক সুযোগ হয়ে থাকে। প্রবাসে দক্ষতার সাথে নিজের কাজের পরিচয় দিন এবং জীবনমান উন্নত করুন।

সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সুইজারল্যান্ড যেতে হলে প্রথমে জেনে নিতে হবে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত, কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে । পাশাপাশি ভিসা আবেদন করতে গিয়ে ক্যাটাগরি বাছাই করার সময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে সমস্ত তথ্য নিয়ে আবেদনটি করতে হবে।

কারণ সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে । যারা উচ্চ ও মাঝারি দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী তাদের জন্য আলাদা কাজের ভিসা হয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়োগ কর্তার সাথে কাজের চুক্তি করতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যখন আপনি আবেদন করবেন প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট অভিজ্ঞতা আছে কিনা। এসব অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ শ্রমিকেরা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে । আরেকটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল এই দেশে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য ভাষা দক্ষতা বাধ্যতামূলক।

সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

সুইজারল্যান্ড বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি দেশ। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ যেন সুইজারল্যান্ডকে এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ দিয়ে ভূষিত করেছে। সেই দেশে ভিসা নিয়ে কাজ করতে যেতে পারা অনেক সৌভাগ্যের বলে আমি মনে করি।

শুধু তাই নয় এই রূপময় সৌন্দর্যের এই দেশটিতে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব অর্জন করা আরো সৌভাগ্যের বলে মনে করি। তবে ইউরোপের উন্নত দেশ সুইজারল্যান্ডে তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন হয় নাগরিকত্ব পাওয়া। এটি একটি দীর্ঘ সময় ও জটিল প্রক্রিয়া।

কিছুটা ধৈর্য সহকারে এই কাজটি চালিয়ে যেতে পারলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো:
  • সি পারমিট ভিসা নিয়ে বসবাস করতে পারলে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘদিন ১০ বছর, তবেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে।
  • সুইস কোন নাগরিককে যদি বিয়ে করা যায় তাহলে আবার সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে বিয়ের বয়স কমপক্ষে হতে হবে তিন বছর এবং সেখানে বৈধভাবে বসবাস করতে হবে মোটপাঁচ বছর।
  • আপনার সন্তান সুইস নাগরিক না হয়েও সেখানে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবে। যদি ওই দেশে তার জন্ম হয় আর পিতা অথবা মাতা যে কেউ আগে থেকে দেশটিতে নাগরিকত্ব লাভ করে থাকে।

সুইজারল্যান্ড টাকার মান কত

সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার নাম হচ্ছে সুইস ফ্রাঙ্ক। এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল মুদ্রা হিসেবে পরিচিত। সুইস ফ্রাঙ্কের মান বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে প্রায়শই বেশি থাকে।

তবে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে সুইস ফ্রাঙ্কের মান কত, তা বলাটা একটু কঠিন কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার বিনিময় হার প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণ, যেমন মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

সুইজারল্যান্ডের ১ সুইস ফ্রাঙ্ক বাংলাদেশের প্রায় ১৫২ থেকে ১৫৩ টাকা।

সুইজারল্যান্ডের ১০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

সুইজারল্যান্ডের ১০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক বাংলাদেশের প্রায় ১,৫২,৭০০ থেকে ১,৫৩,০০০ টাকা।

FAQs

Q1. বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে মোট কত টাকা খরচ হতে পারে?
উত্তর: সবকিছু মিলিয়ে, কম খরচে ভ্রমণ করলে প্রতি জনের জন্য প্রায় ২.৫ লক্ষ থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। যদি আরামদায়ক ভ্রমণ চান, তাহলে খরচ ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।

Q2. সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য কত টাকা লাগে?
উত্তর: সুইজারল্যান্ড যেতে হলে সেনজেন ভিসা নিতে হয়। ভিসার আবেদন ফি প্রায় ৮,৫০০ টাকা (৮০ ইউরো), এর সাথে কিছু সার্ভিস চার্জও যোগ হতে পারে।

Q3. সুইজারল্যান্ড প্লেনের টিকিটের খরচ কেমন হতে পারে?
উত্তর: প্লেনের টিকিটের খরচ অনেক বেশি ওঠানামা করে। সাধারণত, আসা-যাওয়ার টিকিট ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা হতে পারে। আগে থেকে বুক করলে বা অফ-সিজনে গেলে খরচ কম হয়।

Q4. সুইজারল্যান্ডে প্রতিদিন খাবার খরচ কেমন হতে পারে?
উত্তর: কম খরচে খেতে চাইলে প্রতিদিন ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা লাগতে পারে। যদি রেস্টুরেন্টে খান, তাহলে প্রতিদিন ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি খরচ হবে।

Q5. সুইজারল্যান্ডে যাতায়াতের জন্য কী ধরনের খরচ হয়?
উত্তর: সুইজারল্যান্ডে যাতায়াতের জন্য ট্রেন, বাস, ট্রাম ব্যবহার করা হয়। অনেক জায়গা ঘুরতে চাইলে সুইস পাস কিনে নিলে খরচ কিছুটা কমে। ৭ দিনের সুইস পাসের দাম প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা।

Q6. সুইজারল্যান্ডে কোন সময়ে গেলে খরচ কম হবে?
উত্তর: সাধারণত, অফ-সিজনে (যেমন: নভেম্বর থেকে মার্চ) গেলে প্লেনের টিকিট এবং হোটেল খরচ কম থাকে। তবে শীতকালে অনেক জায়গা বন্ধ থাকে।

Q7. সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার আগে কি সব টাকা বাংলাদেশী টাকায় রাখতে হবে?
উত্তর: না, বরং ইউরো এবং সুইস ফ্রাংক নিয়ে যাওয়া ভালো। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, যা সেখানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।

Q8. সুইজারল্যান্ড ভিসা পেতে কী কী কাগজপত্র লাগে?
উত্তর: ভিসা আবেদনের জন্য বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির প্রমাণপত্র এবং হোটেল ও প্লেনের টিকিট বুকিংয়ের কাগজ লাগে।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে, বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে, তার একটি নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ খরচ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।

তবে মোটামুটি ধারণা দিতে গেলে, আপনি যদি নিজে নিজে সুইজারল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আনুমানিক ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কিন্তু, আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নেন তাহলে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

আসলে সুইজারল্যান্ড যেতে আসলে কত টাকা লাগবে সেটা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। সবচেয়ে ভালো হবে দেশটির কোন প্রবাসীর কাছ থেকে ভিসা খরচ সম্পর্কে তথ্য নেওয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url