ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা - ওমান টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে (আপডেট তথ্য)

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ওমান এক অসাধারণ সুন্দর দেশ, যা পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এই দেশটি তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমৃদ্ধ ইসলামিক ঐতিহ্য এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
২০১২ সালে বিশ্বখ্যাত ভ্রমণ গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ওমানের রাজধানী মাসকাটকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা শহর হিসেবে ঘোষণা করে। একই বছরে এটি ‘আরব পর্যটন রাজধানী’ হিসেবেও স্বীকৃতি পায়। সেই থেকে ওমানের পর্যটন খাত দ্রুত উন্নতি করেছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওমান ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে ভিসার খরচ, ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ, কাগজপত্র এবং সেখানে ঘোরার মতো জায়গাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আপনার জন্য খুবই জরুরি। এই পোস্টে আমরা ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ওমান ভ্রমণ সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে আলোচনা করব।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা

বাংলাদেশ থেকে ওমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভিসা। ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, তাই এর নির্দিষ্ট পরিমাণ বলা কঠিন। তবে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখলে আপনি খরচের একটি ধারণা পেতে পারেন:
ভিসার ধরন: ভিসার খরচ নির্ভর করে আপনি কত দিনের জন্য ভিসা নিচ্ছেন তার ওপর। সাধারণত, ৩০ দিনের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়।

ভিসা ফি: ওমান সরকারের নির্ধারিত ভিসা ফি সাধারণত ২০ থেকে ৫০ ওমানি রিয়ালের মধ্যে থাকে। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকার মতো।

এজেন্সি ফি: যদি আপনি কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করান, তাহলে তাদের সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এটি সাধারণত এজেন্সিভেদে ভিন্ন হয়। এই খরচ ধরে আপনার ভিসা পেতে মোট ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা লাগতে পারে।

অন্যান্য খরচ: ভিসা ফি ছাড়াও আপনার কিছু আনুষঙ্গিক খরচ থাকে, যেমন: বিমানে আসা-যাওয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির খরচ।

সব মিলিয়ে, আপনি যদি নিজে অনলাইনে ই-ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে খরচ কিছুটা কম হতে পারে। কিন্তু যদি কোনো এজেন্সির সাহায্য নেন, তাহলে মোট খরচ অনেক বেশি হবে। তাই, ওমান ভ্রমণের আগে আপনার সব খরচ ভালোভাবে হিসাব করে নেওয়া উচিত।

কয়েক বছর আগেও ভিসার খরচ ছিল প্রায় ৫০,০০০ টাকা। ভিসা ফি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত সেবা চার্জ এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণের খরচ বাড়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। আজকের দিনে ভিসার জন্য আপনাকে দূতাবাসে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। বরং অনলাইনের মাধ্যমেই ঘরে বসে ভিসার আবেদন জমা দেওয়া যায়।

ওমান ভ্রমণের আনুমানিক খরচ

ভ্রমণের ব্যয় নির্ভর করে আপনি কী ধরণের ভ্রমণ পরিকল্পনা করছেন তার উপর।
  • সাধারণ বাজেট ভ্রমণ: ভিসা ছাড়া প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা বাজেট যথেষ্ট।
  • বিলাসবহুল ভ্রমণ (পরিবারসহ): খরচ দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে, বিশেষ করে ৫-তারকা হোটেল, প্রাইভেট গাইড এবং বিলাসবহুল পরিবহন ব্যবহার করলে।
  • খাবার খরচ: প্রতিদিনের খাবারের জন্য গড়ে ১৫-২০ ওমানি রিয়াল ধরতে পারেন।
  • হোটেল খরচ: ৩-তারকা হোটেলে প্রতিরাত ২৫-৩০ রিয়াল, আর ৫-তারকা হোটেলে ৭০-১৫০ রিয়াল পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

ওমান টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে

ওমান ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদনকালে যেসব নথি লাগবে:
  • পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • আবেদন ফর্ম: সঠিকভাবে পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম।
  • ছবি: সাম্প্রতিক ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • ভ্রমণ পরিকল্পনা: কোন শহর ও স্থানে ভ্রমণ করবেন তার বিবরণ।
  • হোটেল রিজার্ভেশন ও ফিরতি টিকিট: নিশ্চিত বুকিং।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট: অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ।
  • বিবাহের সনদ (প্রয়োজন হলে): স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে অনুলিপি ও অনুবাদ জমা দিতে হবে।

ওমান ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

  • অনলাইনে ওমান সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • ভিসার ধরন নির্বাচন করুন (Tourist Visa)।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করুন।
  • কাগজপত্র আপলোড করুন।
  • ভিসা ফি অনলাইনে পরিশোধ করুন।
  • সাধারণত ৩-৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভিসা ইস্যু করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাতায়াত ব্যবস্থা

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ঢাকা- মাসকাট ফ্লাইট রয়েছে। এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে Oman Air, Biman Bangladesh Airlines, এবং SalamAir নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে।
  • ফ্লাইট সময়: প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা।
  • টিকিটের মূল্য: ৩৫,০০০ – ৫০,০০০ টাকার মধ্যে (সিজন অনুযায়ী পরিবর্তন হয়)।

ভ্রমণের টিপস ও পরামর্শ

  • পোশাকবিধি: ইসলামিক সংস্কৃতি মেনে শালীন পোশাক পরিধান করা উচিত।
  • আবহাওয়া: নভেম্বর থেকে মার্চ মাস ওমান ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়।
  • স্থানীয় সংস্কৃতি: স্থানীয়দের সাথে সৌজন্যপূর্ণ আচরণ করুন, ছবি তোলার আগে অনুমতি নিন।
  • নিরাপত্তা: ওমান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত।

ওমানের পর্যটন আকর্ষণ কেন ভ্রমণ করবেন এই দেশটিতে?

ওমান এমন এক দেশ যেখানে একসাথে আপনি উপভোগ করতে পারবেন মরুভূমির রহস্য, পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্য, আরব সাগরের মনোমুগ্ধকর সমুদ্রতট এবং ঐতিহাসিক ইসলামিক নিদর্শন।

১. সমুদ্রতটের অনিন্দ্য সৌন্দর্য: ওমানের সমুদ্রতটগুলো তাদের স্বচ্ছ নীল জল, মসৃণ সাদা বালু এবং শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। Qurum Beach এবং Ras Al Jinz Turtle Beach পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। বিশেষ করে রস আল জিনজে কচ্ছপের ডিম পাড়ার দৃশ্য দেখা এক বিরল অভিজ্ঞতা।

২. প্রাচীন দুর্গ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য: ওমান ভ্রমণে গেলে আপনি দেখতে পাবেন অসংখ্য প্রাচীন দুর্গ যেমন – Nizwa Fort, Jabreen Castle। এগুলো ইসলামিক সামরিক স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে।

৩. মরুভূমির রহস্যময় সৌন্দর্য: Wahiba Sands Desert ভ্রমণকারীদের জন্য এক ভিন্ন ধরণের অ্যাডভেঞ্চার। এখানে স্যান্ড ডিউনে গাড়ি চালানো, উটের পিঠে ভ্রমণ এবং মরুভূমির তাঁবুতে রাত কাটানো ভ্রমণকারীদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।

৪. পাহাড় ও সবুজ প্রকৃতি: জেবেল শামস এবং জেবেল আখদার—এই দুটি পাহাড়ি অঞ্চল ট্রেকিং ভালোবাসেন এমন মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানকার পাহাড়ি গ্রামের জীবন, সবুজে ভরা বাগান আর মনোরম ঠাণ্ডা আবহাওয়া পর্যটকদের মন মুগ্ধ করে দেয়।

কীভাবে ওমান যাওয়ার খরচ কমানো যায়?

ওমানে যাওয়ার খরচ কমানোর জন্য আমি কিছু কৌশল শিখেছিলাম। এখানে আমি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যাতে আপনারা কম খরচে ওমান ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। এই টিপসগুলো আপনাদের খরচ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।

সরাসরি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করুন

মধ্যস্থতাকারী বা দালাল এড়িয়ে যদি সরাসরি ওমানের কোনো কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে আপনার ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বেঁচে যেতে পারে। এতে করে আপনার ভ্রমণের খরচ অনেক কমে আসবে।

বিশ্বস্ত এজেন্সি বেছে নিন

এজেন্সি ছাড়া অনেক সময় কাজ পাওয়া কঠিন। তবে এমন এজেন্সি বেছে নিন যাদের ভালো রিভিউ আছে। আমি আমার এজেন্সি গুগল রিভিউ দেখে ঠিক করেছিলাম।

টিকেট আগে থেকে বুক করুন

ফ্লাইটের দাম কমানোর জন্য ২-৩ মাস আগে টিকেট বুক করুন। এতে ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা বাঁচবে।

সরকারি প্রক্রিয়া ব্যবহার করুন

বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গেলে খরচ অনেক কম হয়। আমার এক বন্ধু এভাবে গিয়ে ১ লাখ টাকার বেশি বাঁচিয়েছিল।

ওমান ভ্রমণের প্রস্তুতি ও সময়

বাংলাদেশ থেকে ওমানের দূরত্ব প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার। আমি যখন ওমানে গিয়েছিলাম, তখন নন-স্টপ ফ্লাইটে আমার প্রায় ৫ ঘণ্টা লেগেছিল। তবে কিছু ফ্লাইট আছে যেখানে স্টপওভারের কারণে মোট ৮ থেকে ১২ ঘণ্টাও লাগতে পারে।

প্রস্তুতির জন্য আমার টিপস

বিমানবন্দরে কোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে আপনার ভিসা, টিকেট, এবং সব ধরনের ডকুমেন্ট তিনবার করে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে করে শেষ মুহূর্তে কোনো ভুল বা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

ওমানে পৌঁছানোর পর প্রথম সপ্তাহের খরচ মেটানোর জন্য কিছু টাকা হাতে রাখা জরুরি। এই সময়ে আপনাকে থাকা, খাওয়া এবং যাতায়াতের জন্য টাকা খরচ করতে হবে। তাই, আগেই কিছু অর্থ সঙ্গে নিয়ে গেলে আপনি নতুন পরিবেশে কোনো সমস্যায় পড়বেন না।

ওমানের আবহাওয়া বেশ গরম। তাই সেখানে যাওয়ার সময় আপনার সাথে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক নেওয়া উচিত। এতে করে আপনি গরমের মধ্যে স্বস্তি পাবেন এবং আপনার ভ্রমণ আরামদায়ক হবে।

ওমান ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

আমি যখন ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন পুরো প্রক্রিয়াটা বুঝতে আমার একটু সময় লেগেছিল। আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে আমি সেই ধাপগুলো সহজভাবে তুলে ধরছি, যাতে আপনাদের জন্য কাজটি সহজ হয়।
  • ওমানের কাজের ভিসায় গেলে উক্ত কোম্পানি থেকে জব অফার লেটার নিতে হবে।
  • এজেন্সি বা দূতাবাসে সব কাগজপত্র জমা দিন।
  • নির্দিষ্ট ক্লিনিক থেকে টেস্ট করতে হবে।
  • এজেন্সি বা কোম্পানির মাধ্যমে ফি দিন।
  • ভিসার জন্য অপেক্ষা করুন, সাধারণত ১৫-৩০ দিন লাগে।

সতর্কতা ও প্রতারণা এড়ানোর উপায়

আমি শুনেছি অনেকে এজেন্সির কাছে প্রতারিত হয়েছেন। আমার একটি পরামর্শ—কখনো অগ্রিম বেশি টাকা দিয়ে ফেলবেন না। এছাড়া:
  • এজেন্সির লাইসেন্স চেক করুন।
  • জব অফার লেটার ভালোভাবে পড়ুন।
  • পরিচিত কারও মাধ্যমে এজেন্সি খুঁজুন।

ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে

বিশ্বের প্রতিটি দেশের কর্মীতের জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট একটি শ্রম আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সর্বনিম্ন একটি কাজের বয়স থাকে তেমনি ওমান দেশটিতেও রয়েছে। 
আপনি যদি ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তবে আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২২ বছর। তবে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সসীমা নেই। তবে সম্প্রতি একটি আপডেট তথ্য জানা গেছে যে, ওমানে বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়স লাগে ২১ বছর।

বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত সময় লাগে

যারা বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে থেকে অনেকের জানা নেই বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত সময় লাগে। বাংলাদেশ থেকে ওমান যাওয়ার জন্য দুই রকমের ফ্লাইট অফার করা হয় একটি হল ননস্টপ আরেকটি হলো স্টক ওভার। তবে বাংলাদেশ থেকে এই দুটো ফ্লাইটে দুই রকমের সময় লাগে এজন্য অনেকে কনফিউসড হয়ে যায়।

যার কারণে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে কত সময় লাগে তা জানতে অনলাইনে খোঁজ করে থাকেন। তাই, যারা ওমানে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে সাধারণত কত সময় লাগে, তার একটি বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে চান, তাহলে বিমান সংস্থা এবং ফ্লাইটের ধরনের ওপর নির্ভর করে সময় ভিন্ন হয়।
  • যদি লোকাল বিমানে যান এবং পথে বিরতি (stoppage) থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের নন-স্টপ ফ্লাইটে গেলে আপনার প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগবে।
  • আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নন-স্টপ ফ্লাইটে ওমান পৌঁছাতে সময় লাগে সবচেয়ে কম, মাত্র ৫ ঘণ্টা

সাধারনত প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)

Q1. বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওমান ট্যুরিস্ট ভিসা কি প্রয়োজন?
হ্যাঁ, ওমানে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের অবশ্যই ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে।

Q2. ওমান ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার প্রধান শর্তগুলো কী কী?
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ ওমানে প্রবেশের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ (যেমন: ব্যাংক স্টেটমেন্ট)।
  • ফেরত যাওয়ার বিমান টিকেট বা ওমান থেকে অন্য দেশে যাওয়ার টিকেট।
  • হোটেলে থাকার বুকিং নিশ্চিতকরণ।
Q3. ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করব?
আপনি সাধারণত ওমানের ই-ভিসা পোর্টালের (Royal Oman Police-e-Visa) মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

Q4. ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত দিনের হয়?
সাধারণত, ওমান ট্যুরিস্ট ভিসা ৩০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। তবে, ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে মেয়াদ কম বা বেশি হতে পারে।

Q5. ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ কেমন?
ভিসার খরচ ভিসার ধরন (একক প্রবেশ বা একাধিক প্রবেশ) এবং প্রক্রিয়াকরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, এর খরচ ২০ থেকে ৫০ ওমানি রিয়ালের মধ্যে থাকে।

Q6. ভিসা আবেদন করতে কত সময় লাগে?
অনলাইন ই-ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণত ২-১০ কার্যদিবসের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে, কোনো জটিলতা থাকলে বেশি সময় লাগতে পারে। তাই, ভ্রমণের তারিখের বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করা উচিত।

Q7. আমি কি ওমানে পৌঁছে এন্ট্রি পোর্ট থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে পারব?
না, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা নেই। আপনাকে ওমানে প্রবেশের আগেই ভিসা নিয়ে যেতে হবে।

Q8. ট্যুরিস্ট ভিসায় ওমানে কি কাজ করা যাবে?
না, ট্যুরিস্ট ভিসা শুধু পর্যটন বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়। এই ভিসায় ওমানে কোনো ধরনের কাজ করা সম্পূর্ণ অবৈধ।

Q9. ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কি তা বাড়ানো যায়?
কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকতে পারে। তবে, এটি খুবই সীমিত এবং রয়্যাল ওমান পুলিশের অনুমতির ওপর নির্ভরশীল।

Q10. কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, ওমান দূতাবাস অনুমোদিত এবং স্বনামধন্য ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা নিরাপদ। তারা আপনার আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে সহায়তা করে। তবে, আবেদন করার আগে এজেন্সির বৈধতা যাচাই করে নেওয়া উচিত

Q11. বাংলাদেশ থেকে ওমানের দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে ওমানের মোট দূরত্ব হচ্ছে ৩,৫২৮ কিলোমিটার

লেখকের শেষ মন্তব্য

ওমানে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই। আমি নিজে গিয়ে বুঝেছি, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই যাত্রা জীবন বদলে দিতে পারে। ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা এবং ওমান টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়ার ওপর। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, সবকিছু আগে থেকে জেনে নিন, বিশ্বস্ত লোকের সঙ্গে কাজ করুন, এবং ধৈর্য ধরুন।

আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনার ওমান যাওয়ার পথকে আরও সহজ করবে। আপনার যাত্রা শুভ হোক! যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, কমেন্টে জানান। আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url