বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আপডেট তথ্য জানুন
রাশিয়া বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মধ্যে একটি। আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রচুর
সংখ্যক লোক রাশিয়া যাচ্ছেন কাজের উদ্দেশ্যে। আবার অনেকে রাশিয়া যাওয়ার জন্য
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে প্রসঙ্গে খোঁজ করেন। আজকের
আর্টিকেলটিতে রাশিয়া যাওয়ার খরচ, কিভাবে যাবেন, ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে
প্রত্যেকটি বিচার সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত।
আমাদের বাংলাদেশ থেকে কর্মের উদ্দেশ্যে যারা রাশিয়া যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই
জানা প্রয়োজন বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। বাংলাদেশ
থেকে রাশিয়া যেতে যে খরচ হয় সেটি নির্ভর করে ভিসার ধরনের ওপর। যারা কাজের
উদ্দেশ্যে রাশিয়া যেতে চান তারা অজানা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে পুরো
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক লোক রাশিয়া গিয়ে কর্মরত রয়েছেন। আবার বেশ কিছু
লোক ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে রাশিয়া যেতে চান। তাইতো নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে
রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া
যেতে কত টাকা লাগে সেটি নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে।
কেননা ভিন্ন ভিন্ন ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার খরচ ভিন্ন রকম।
আপনি যদি শিক্ষার অথবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে রাশিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে মিডিয়াম
খরচের রাশিয়া যেতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রাশিয়া যান
সেক্ষেত্রে সবচেয়ে কম খরচে রাশিয়া যেতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অথবা কাজের জন্য রাশিয়া যেতে চান সে
ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে
২.৫-৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। বাংলাদেশ থেকে বিজনেস ভিসার মাধ্যমে রাশিয়া
যেতে খরচ হয় ৩ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে রাশিয়া যেতে খরচ হয় ৩ লক্ষ ২০ হাজার
টাকা। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রাশিয়া যেতে ৫-৯ লক্ষ টাকা লাগে।
আপনি যদি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম
হবে৷ অন্যদিকে আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া যেতে চান সে
ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে।
অথবা আপনার যদি পরিচিত কোন লোক থাকে, সেই লোকের মাধ্যমে রাশিয়া গেলে মিডিয়াম
খরচ হবে। আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে রাশিয়া যান সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ
হবে। সহজ মাধ্যম সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া যাওয়ার। কিন্তু সরকারি
এজেন্সিতে সাধারণ ব্যক্তির জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সাধারণ ব্যক্তিদের
সুযোগ হয় না সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া যাওয়া।
খুব কম সংখ্যক ব্যক্তি সরকারিভাবে রাশিয়া যেতে পারেন। তবে বেসরকারি এজেন্সি
গুলো প্রতিনিয়ত প্রচুর সংখ্যক লোক রাশিয়া পাঠাচ্ছে। তবে বেসরকারি এজেন্সি
গুলোর খরচ কিছুটা বেশি। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে
রাশিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮-১০ লক্ষ টাকা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে খরচ হবে ৮-১০ লক্ষ টাকা। আশা করি
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়ার উপায়
অনেকেই চান রাশিয়া গিয়ে কাজ করতে। আবার অনেকেই শিক্ষার উদ্দেশ্যে, বিজনেস এর
উদ্দেশ্যে, টুরিস্ট হিসেবে রাশিয়া যেতে চান। কিন্তুু রাশিয়া যাওয়ার উপায়
সম্পর্কে জানেন না। রাশিয়া যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। আপনি
বৈধভাবে সরকারি ভিসার মাধ্যমে রাশিয়া যেতে পারবেন। অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে
রাশিয়া যেতে পারবেন।
আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা,
ইনভাইটেশন ভিসার মাধ্যমে রাশিয়া যেতে পারেন। আপনি যে উদ্দেশ্যে রাশিয়া যেতে
চান ওই উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করে সরকারি অথবা বেসরকারি এজেন্সির
মাধ্যমে রাশিয়া যেতে পারবেন।
রাশিয়া কাজের বেতন কেমন
রাশিয়া কাজের বেতন নির্ভর করে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে। কাজের ধরন অনুযায়ী
কাজের বেতন কমবেশি হয়। তাছাড়া নতুন শ্রমিকের চাইতে দক্ষ শ্রমিকের বেতন কিছুটা
বেশি। প্রথম অবস্থায় রাশিয়ায় কাজের বেতন কম। কিন্তু অল্প কয়েক মাস কাজ করার
পর আপনি যদি দক্ষ শ্রমিককে পরিণত হতে পারেন তাহলে আপনার বেতন দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে।
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
নতুন অবস্থায় যেকোনো শ্রমিকের বেতন ৩০-৫০ হাজার টাকা। দক্ষ ও পুরাতন শ্রমিকের
বেতন ১-১.৫ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে যারা সাধারন কাজ করে তাদের বেতন কিছুটা কম।
অন্যদিকে যারা ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিক্যাল কাজ করে তাদের বেতন বেশি। হাসপাতাল,
গার্মেন্টস খাতে যারা সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাদের বেতন প্রতিমাসে ৩০
থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
এটি ব্যাসিক বেতন হিসেবে প্রদান করা হয়। তবে আপনি এর চাইতে বেশি আয় করতে
পারবেন আপনি যদি ওভারটাইম হিসেবে কাজ করেন।
রাশিয়া কাজের ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয়
রাশিয়া কাজের ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয়, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। কারণ
খরচটা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন—আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে
যাচ্ছেন, কোন ধরনের কাজ এবং রাশিয়ার কোন শহরে যাচ্ছেন। তবে, একটি মোটামুটি
ধারণা দেওয়ার জন্য খরচগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।
রাশিয়ার কাজের ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাশিয়ার কোনো কোম্পানির
কাছ থেকে একটি বৈধ কাজের প্রস্তাব বা ইনভাইটেশন লেটার। এই ইনভাইটেশন লেটার পেতে
প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এই খরচটি সাধারণত
রাশিয়ার কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
ইনভাইটেশন লেটার পাওয়ার পর আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। রাশিয়ায় ভিসার
আবেদনের জন্য সাধারণত ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ফি দিতে হয়। এই ফি
সরাসরি রাশিয়ান দূতাবাস অথবা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, যেমন VFS Global-এ
জমা দিতে হয়। আপনি যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেন, তাহলে তারা
একটি সার্ভিস চার্জ নেয়, যা ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
ভিসার ফি ছাড়াও আরও কিছু খরচ রয়েছে আপনি যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে পুরো
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তাহলে তারা মোট খরচ হিসেবে একটা বড় অঙ্কের টাকা
নেয়। এই খরচ সাধারণত ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা ইনভাইটেশন,
ভিসা এবং অন্যান্য সব খরচรวม করে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার বিমান ভাড়া প্রায় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে। কিছু অসাধু এজেন্সি বা দালাল রাশিয়ায় ভালো বেতনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
দিয়ে অনেক বেশি টাকা দাবি করতে পারে।
তাই, যেকোনো এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার আগে তাদের লাইসেন্স এবং নির্ভরযোগ্যতা
ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি রাশিয়ার কোনো বৈধ
কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি কাজের প্রস্তাব পান।
সব মিলিয়ে, রাশিয়া কাজের ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে শুরু করে ৫ লাখ বা
তারও বেশি টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচ কাজের ধরন, রাশিয়ান কোম্পানির ধরণ এবং
এজেন্সির সেবার মানের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়।
রাশিয়া কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
অনেকে রাশিয়া যেতে চান তবে রাশিয়া যেতে অথবা রাশিয়া ভিসা আবেদন করতে কি কি
প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে জানেন না। সাধারণত ভিসার ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্টগুলোর
প্রয়োজন হয়। আপনি যদি রাশিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বেশকিছু
ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে৷
📌আরো পড়ুন👉মালয়েশিয়া ১৫০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
আপনি যে কাজ করতে চান, সেই কাজের অভিজ্ঞতা আছে কিনা ও ভিসার জন্য আবেদন করতে
বেশ কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন। রাশিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে যে ডকুমেন্ট গুলো
লাগে তার একটি তালিকা নিজে দেওয়া হল
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ভ্রমণের ইতিহাস
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
- ভাষা দক্ষতা (ইংরেজি কিংবা রাশিয়ান)
আপনি উপরে দেওয়া এই ডকুমেন্ট গুলোর মাধ্যমে কোন এজেন্সিতে গিয়ে সরাসরি কাজের
ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এরপর আপনার ভিসা গ্রহণযোগ্য হলেই আপনি রাশিয়ায়
কাদের জন্য যেতে পারবেন।
রাশিয়ার সর্বনিম্ন বেতন কত
অনেকে রাশিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাই নিয়মিত রাশিয়ার সর্বনিম্ন বেতন
কত সে সম্পর্কে জানতে চান। রাশিয়ায় সাধারণত কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে বেতন
নির্ধারিত হয়। রাশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের বেতন ২৫ হাজার টাকা। একজন বাংলাদেশী
রাশিয়া গিয়ে যেকোনো কাজ করে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
ওভারটাইম কাজ করলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাবেন। কনস্ট্রাকশন কাজগুলোতে
সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এদের সর্বনিম্ন
বেতন ৫০-৭০ হাজার টাকা। তবে দক্ষতা অর্জনের পর এদের বেতন আরো দ্রুত বৃদ্ধি
পায়।
একজন নতুন শ্রমিক রাশিয়ায় গিয়ে কিছুদিন থাকার পর দক্ষতা অর্জন করলে ওই
শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি পায়। দেখা যায় একজন শ্রমিক নতুন অবস্থায় রাশিয়া গিয়ে
কাজ করার ৫-৬ মাস পর ওই শ্রমিক প্রতিমাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা ইনকাম করে। তবে এক
বছর অতিক্রম হলে একজন দক্ষ শ্রমিক ১-১.৫ লক্ষ টাকা বেতন পায়।
রাশিয়া কাজের বেতন কত
বেতন বা পারিশ্রমিক নির্ভর করে তার কাজের উপর ভিত্তি করে। তেমনি রাশিয়া কাজের
বেতন নির্ভর করে কি ধরনের উপর। কাজ বিভিন্ন রকম হয় সেই কাজ অনুযায়ী আপনি বেতন
পাবেন।
যারা বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় কাজ করতে যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য রাশিয়ার
বিভিন্ন পেশার বেতন কাঠামো সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা
অনেকেই জানতে চান, কোন কাজের জন্য কেমন বেতন পাওয়া যায়। এই তথ্যগুলো আপনাদের
রাশিয়ায় কাজ খোঁজা এবং জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য
করবে।
যারা প্রথম অবস্থায় কাজ করতে যান তাদের অবশ্যই তুলনামূলক কম হবে। কাজ করতে
করতে দক্ষ হয়ে উঠবেন তখন অবশ্যই আপনার কাজের বেতন দক্ষতার উপর বৃদ্ধি পাবে।
নতুন অবস্থায় কাজের বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি সাথে সাথে আপনার বেতন হয়ে উঠবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা
অব্দি। যারা রাশিয়ায় ইলেকট্রিকাল কাজ করে থাকেন তাদের বেতন তুলনামূলক অনেক
বেশি এবং গার্মেন্টসে ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তাদের বেতন তুলনামূলক কম। নতুন
অবস্থায় আপনার কাজের বেতন ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
আপনার যে বেতনটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি মূলত আপনার বেসিক বেতন। এর সাথে আপনি
যদি আরও বেশি টাকা আয় করতে চান, তবে আপনাকে ওভারটাইম কাজ করতে হবে। ওভারটাইম
করলে আপনার মোট বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া ফ্লাইট ভাড়া
ঢাকা থেকে রাশিয়ার বিমান ভাড়া সম্পর্কে অনেকে জানেন না। ঢাকা থেকে রাশিয়ার
বিমান ভাড়া পূর্বে কিছুটা কম ছিল কিন্তু ২০২৫ সালে এ ভাড়া প্রায় বৃদ্ধি
পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার ফ্লাইট ভাড়া ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ঢাকা
থেকে মস্কোতে বিমান ভাড়া ৫০-৮৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর
থেকে এই ভাড়া কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
📌আরো পড়ুন👉বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টিকেট প্রাইস
এছাড়া এয়ারলাইন অনুযায়ী ভাড়ার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কাতার
এয়ার ওয়েজ, তুর্কি এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, এয়ার আরাবিয়া, রুটের মাধ্যমে
রাশিয়া যাওয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন রুটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে
ভিন্ন রকম ভাড়া লাগে।
রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ বাংলাদেশ
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী রাশে গিয়ে সহজে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। বাংলাদেশ থেকে
যে সকল শিক্ষার্থী রাশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তারা নিয়মিতই স্টুডেন্ট
ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে চান। রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সাধারণত ভিসা ফি
৮-১৫ হাজার টাকা।
এছাড়া একজন শিক্ষার্থীর মেডিকেল, ইন্সুরেন্স, ফ্লাইট, অন্যান্য খরচসহ ৩ লক্ষ
টাকা মত খরচ হয়। তবে সময়ের পার্থক্য ভেদে এর চাইতে কম অথবা কিছুটা বেশি খরচ
হতে পারে। তবে যে সকল শিক্ষার্থী স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যান তাদের ক্ষেত্রে খরচ
কিছুটা কম হয়।
রাশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
রাশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে
হয়। তবে, যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সের
মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। আর যারা স্টুডেন্ট
ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তারা ১৬ বছর বয়স থেকেই আবেদন করতে পারেন।
সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। রাশিয়া
ভিসার জন্য আবেদন করার পর সাধারণত ২০ দিনের মতো সময় লাগে ভিসা প্রসেসিং হতে।
তবে, পুরো প্রক্রিয়া অর্থাৎ ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা হাতে পাওয়া
পর্যন্ত প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
রাশিয়া ১ রুবেল বাংলাদেশের কত টাকা?
রাশিয়ার ১ রুবেল বাংলাদেশের প্রায় ১.১১ টাকা।
বাংলাদেশে রাশিয়ার দূতাবাস কোথায়?
বাংলাদেশে রাশিয়ার দূতাবাস ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার বিমান ভাড়া সাধারণত ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে
পারে।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার দূরত্ব প্রায় ৪,৩৫৬ কিলোমিটার।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে সঠিক
তথ্য শেয়ার করেছি। যারা কাজের উদ্দেশ্যে রাশিয়া যেতে চান তাদের অজানা
প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিয়েছি। আপনাদের মনে রাশিয়া সম্পর্কে যদি আরো কোন
প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন৷
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন৷ নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে
আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url