২০২৫ সালে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে? (আপডেট তথ্য)
যখন কেউ কুয়েত যাওয়ার কথা ভাবে, তখন প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে আসে তা হলো—সেখানে
যেতে কত বছর বয়স লাগে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র হিসেবে, কুয়েত পশ্চিম
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পারস্য উপসাগরের মাথায় আরব উপদ্বীপের উত্তর কোণে
অবস্থিত এই দেশটিতে কুয়েতি দিনারের মূল্যমান বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আপনি কুয়েত যেতে চাইলে সবার প্রথমে বয়সের বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ,
ভিসার ধরন অনুযায়ী বয়সের শর্ত ভিন্ন হতে পারে। যেহেতু বর্তমানে কুয়েত ভিসা
চালু হয়েছে, তাই কুয়েত যাওয়ার আগে অবশ্যই অনলাইনে আপনার জন্য প্রযোজ্য
বয়সসীমা এবং ভিসার ক্যাটাগরি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে
কুয়েত একটি নগর রাষ্ট্র, যার অধিকাংশ মানুষ এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর কুয়েত
সিটিতে বসবাস করে। এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই প্রবাসী। ভারতীয় এবং
মিশরীয়দের পর এই দেশটিতে তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী জনগোষ্ঠী হলো বাংলাদেশি।
আপনারা
যারা কুয়েতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাদের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ
৩৫ বছর হতে হবে। তবে টুরিস্ট বা স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হলেই
চলবে।
প্রতিটি দেশেই প্রবেশের জন্য একটি সর্বনিম্ন বয়সসীমা নির্ধারিত
থাকে। একইভাবে, যারা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান, তাদের জন্যেও
একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। ভিসার ধরন অনুযায়ী এই বয়সসীমা আলাদাভাবে
নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণত, কুয়েতে ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার বয়স
কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। যদি আপনার বয়স ২০ বছরের কম হয়, তাহলে আপনি কোনো
ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
মাথাপিছু আয় এর দিক থেকে দেখা গেছে যে কুয়েত বিশ্বের চতুর্থ ধনী দেশ। জিসিসি
দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত দ্বিতীয় ধনী দেশ যা কাতারের পরেই। আর তাই দেখা গেছে কুয়েতে
প্রায় সব ধরনের কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে । তাই কুয়েতে যাওয়ার আগে আপনি জেনে
নিবেন কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে।
আর যাবার আগে নিজেকে একজন দক্ষ
শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলুন। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। কুয়েত যাওয়ার আগে অবশ্যই
একটি কাজের উপর বেশ ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিবেন । কুয়েতে যেমন সব ধরনের কাজের চাহিদা
বেশি তেমনই আবার বিশ্বের দরবারে কুয়েতি দিনার সর্বোচ্চ মূল্যবান একক।
সেখানে
যেতে পারলে জীবন মান অনেক উন্নত হবে। কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিম্নে
আলোচনা করা হলোঃ
📌আরো পড়ুন👉ইতালি কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- নির্মাণ শ্রমিক
- ড্রাইভিং
- ক্লিনার
- ডেলিভারি ম্যান
- বিক্রয় প্রতিনিধি
- কৃষি কাজ
- কোম্পানি কাজ
- হোটেল - রেস্টুরেন্ট জব
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায়
কুয়েতে যে জনসংখ্যা বাস করে তার মধ্যে ৭০ % প্রবাসী । ভারতীয় এবং মিশরীয়দের
পরে তৃতীয় কোন বৃহত্তম প্রবাসী জনগোষ্ঠী সেখানে হল বাংলাদেশী। বাংলাদেশ থেকে
সাধারণত কুয়েতে যে ভিসা গুলো নিয়ে যাওয়া যায় তা হল ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট
ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা।
তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ওয়ার্ক ভিসা
নিয়ে বেশি মানুষ সেখানে যায় । কুয়েতে যাওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবে
বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার উপায় রয়েছে। আপনি যদি নিজে নিজে কুয়েত যাওয়ার জন্য
ভিসা প্রসেসিং করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে কোম্পানির কাছ থেকে একটা ইনভাইটেশন লেটার
সংগ্রহ করতে হবে ।
তবে এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি ভিসা প্রসেসিং করতে
চান তাহলে এই লেটার এজেন্সি সংগ্রহ করে নেবে । এক্ষেত্রে শুধুমাত্র এজেন্সিকে
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয় । এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে
যারা এদেশে যেতে চান তাদের ভিসা প্রসেসিং করা সহজ হয় ।
শুধুমাত্র
কুয়েতের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটা ভর্তির অফার লেটার সংগ্রহ করতে হয়। আর
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে একটা স্টেটমেন্ট ও ট্রাভেল রেকর্ড
প্রয়োজন হয়।
কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে এটি জানা যেমন জরুরী। ঠিক তেমনটি জানা জরুরী কুয়েত
যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত
কুয়েতে যে ভিসা গুলো তে আমরা যেতে পারি তা ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা,
স্টুডেন্ট ভিসা।
প্রতিটি ভিসা ক্যাটাগরিতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই
, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে যে কাগজগুলো লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো । যেনো
আপনি কুয়েত যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভিসা তৈরির আগে কাগজগুলো প্রস্তুত
রাখতে পারেন।
📌আরো পড়ুন👉ওমান টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে জেনে নিন
- এনআইডি বা জন্ম সনদ এর ফটো কপি।
- সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। (বাকগ্রাউন্ড রঙ্গিন)
- মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস।
- ব্যাকং ব্যালেস এর স্টেটমেন্ট ।
- চাকরির আবেদন পত্রের ডকুমেন্ট।
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কাজগপত্র।
- ড্রাইভিং এর কাজ হলে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ভিসা আবেদন পত্র।
কুয়েত যেতে এই ডকুমেন্ট গুলো প্রায় ভিসায় জন্য ব্যবহার করা হয়। ভিসা নিয়োগে
অতিরক্ত কিছু উল্লেখ থাকলে সেগুলোও লাগবে। ভিসা নিয়োগের উপর নির্ভর করে কিছু
ডকুমেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েত একটি আমির শাসিত রাষ্ট্র। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলে যে রিজার্ভটি আছে সেই
রিজার্ভটি হচ্ছে কুয়েতে এবং এর উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংকের একটি উচ্চ আয়ের
দেশ হচ্ছে কুয়েত। এক কথায় বলতে গেলে কুয়েতের অর্থনীতি একটি পেট্রোলিয়াম
ভিত্তিক অর্থনীতি বলা হয়।
কুয়েতের যে দিনার আছে তা বিশ্বের
মুদ্রাগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ দামী একক। সেই ধনাঢ্য রাজ্যে আপনি যেতে চাইলে ,আপনার
প্রথমে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে তা জেনে নিতে হবে । কারণ আপনার ভিসা
ক্যাটাগরির উপরে বয়সটা নির্ধারণ করে । পাশাপাশি খরচ নির্ভর করে।
আর
তাই সবাই যখন কুয়েতে যাওয়ার আগে খরচ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেই। আপনি যদি
পড়াশোনা করার জন্য কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
করতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভ্রমণ ভিসার জন্য খরচটা একই রকম ।
কুয়েত এশিয়ার একটি দেশ হওয়ায় সেখানে যাওয়ার ভিসা খরচ সাধারণত খুব
বেশি নয়। তবে বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভিসা খরচও আগের চেয়ে প্রায় ১ থেকে
২ লাখ টাকা বেশি লাগছে। বর্তমানে কুয়েতে একটি কাজের ভিসার জন্য মোট খরচ প্রায় ৬
লাখ টাকা হতে পারে। কুয়েতে কাজের জন্য বেশ কয়েকটি ভিসা আছে।
যেমন
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, শ্রমিক ভিসা, কৃষি ভিসা ও ফ্যাক্টরি ভিসা ইত্যাদি। সাধারণ
মানের ভিসা গুলো পেতে ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। আর এই সকল ভিসায় কুয়েত যেতে মোট ৯ থেকে
১০ লাখ টাকা লাগে। কুয়েতের ভিসা খরচ ৭ লাখ এবং বিমান ভাড়া ও বাকি খরচ দিয়ে
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে নুন্যতম ৮ লাখ টাকা লাগবে।
📌আরো পড়ুন👉বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
- শ্রমিক ভিসা ৬ লাখ টাকা
- কৃষি ভিসা ৬ লাখ টাকা
- লেভার ভিসা ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৭ লাখ টাকা
- কোম্পানি ভিসা ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা
- ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিকাল ভিসা ৮ লাখ টাকা
- রাজমিস্ত্রি ও কাঠমিস্ত্রি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা
- মেডিকেল ভিসা ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা
- বিজনেস ভিসা ৬ লাখ টাকা
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসার জন্য প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
সরকারি ভিসায় কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
যেকোনো দেশের ভিসা সাধারণত সরকারি ও বেসরকারি এই দু'ভাবে পাওয়া যায়। সরকারিভাবে
ভিসা পাওয়ার খরচ কম, কিন্তু এর সুযোগ সীমিত। অন্যদিকে, বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে
ভিসা পেতে খরচ বেশি হলেও ভিসার সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়। যে সকল ভিসা কুয়েত সরকার
থেকে বাংলাদেশ বোয়েসেলে নিয়োগ দেওয়া হয়, সেগুলো সরকারি ভিসায়।
কাজের
মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট একটি সরকারি ভিসা। এছাড়া সিজনাল ও কিছু কোম্পানি ভিত্তিক
ভিসা গুলোও সরকার দ্বারা নিয়োগ করা হয়। সরকারি ভিসায় কুয়েত যেতে ৩ থেকে ৪ লাখ
টাকা লাগে। তবে ভিসার দাম কাজের নিয়োগের উপর নির্ভর করে কম বেশি হবে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া
কুয়েত ও বাংলাদেশের মোট দূরত্ব ৪২৮৬ কিলো মিটার। যার কারণে আকাশ পথে কুয়েত যেতে
হবে। আর আকাশ পথে যেতে খরচ একটু বেশি লাগবে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত রুটে প্রায় ৭
টি আনতর্জাতিক বিমান রয়েছে। বিমানের ধরন ও টিকিটের ক্যাটাগরি উপর বিমান ভাড়া
নির্ভর করে।
এছাড়া ডলারের রেট বেশি থাকলে বিমান ভাড়াও বেশি লাগে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে সর্বনিম্ন ৭০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা লাগে। ৭০
হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার বিমানের টিকিট পাওয়া
যাবে।
কুয়েত কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে তা জানার পাশাপাশি আপনাকে কাজের ভিসা
করার সময় খুব সাবধানে কাজের ভিসাটি করতে হবে. যেন আপনি প্রতারিত কোনভাবে না হন।
আর একটু সচেতন হলে আপনি নিজেই ঘরে বসে কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কুয়েত কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য যে নিয়ম গুলো আছে তা জেনে নিই। আবেদন
করতে আপনি https://kuwait.mofa.gov.bd/ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনার সামনে
একটি ওয়েবসাইট আসবে। এরপর আপনি আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করবেন ।
তারপর
ধীরে ধীরে আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্যগুলো আবেদন ফরমে পূরণ করে নিবেন। তবে খেয়াল
রাখতে হবে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য আবেদনে ফরমে দেওয়া যাবে না । এরপর পূরণ হয়ে
গেলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। অনলাইন প্রক্রিয়াকে অনেকের কাছে কঠিন মনে
হতে পারে , তারা বাংলাদেশে অবস্থিত কুয়েত এম্বাসিতে যোগাযোগ করে আপনি নিতে
পারেন।
কুয়েত কাজের বেতন কত
কুয়েত হচ্ছে একটি আমির শ্বাসিত রাষ্ট্র। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেল রিজার্ভ হয়
সেখানে এবং তার উপর ভিত্তি করে বিশ্ব ব্যাংক একটি উচ্চ আয়ের দেশ বলে কুয়েত
পরিচিত। আর তাই দেখা গেছে যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতে কাজের
পরিমাণ যেমন বেশি, ঠিক তেমনি কাজের বেতনও অনেক বেশি। তবে শ্রমিককে অবশ্যই হতে হবে
দক্ষ ও অভিজ্ঞ।
দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকদের মূল্য এখানে অনেক বেশি।
প্রথম প্রথম কুয়েতে একজন কর্মীর মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা
হয়ে থাকে। পরবর্তীতে তার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেতন আরো
বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক
হয়ে থাকে সে সকল শ্রমিকদের জন্য মাসিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার থেকে ৮০০০০ টাকা
হয়ে থাকে। কুয়েতে নির্দিষ্ট বয়সে যেতে পারলে সেখানে কাজ করার সুযোগ বেশি
পাওয়া যায় এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশি তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী হওয়া যায় ।
কুয়েত যাওয়ার নিয়ম
কুয়েত একটি পশ্চিম এশিয়ার সুন্দরতম দেশ ।পাশাপাশি কুয়েতকে ডাকা হয় একটি নগর
রাষ্ট্র বলে। কুয়েত যেতে কত বছর লাগে এর পাশাপাশি আরও জানতে হবে কুয়েত যাওয়ার
নিয়ম। কুয়েত যাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু ভিসা চালু আছে। এই ভিসা গুলো ব্যবহার
করে খুব সহজে যাওয়া যায় কুয়েত।
কুয়েত যাওয়ার জন্য যে ধরনের ভিসা
গুলো পাওয়া যায় বা কুয়েত সরকার যে ভিসা গুলো দেয় সেগুলো হচ্ছেঃ
- কুয়েত খাদেম ভিসা
- কুয়েত ক্লিনার ভিসা
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা
- কুয়েত টুরিস্ট ভিসা
- কুয়েত ফ্রি ভিসা
এই কয়েক ধরনের ভিসা কুয়েতে যে দেওয়া হয়ে থাকে সেই ভিসা গুলি সম্পর্কে সুযোগ
সুবিধা এবং ভিসার সম্পর্কে ধারণা দেবার চেষ্টা করছি।
কুয়েতে যত ধরনের ভিসা আছে তার মধ্যে অন্যতম ভিসা হচ্ছে ড্রাইভিং ভিসা। কেউ যদি
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে পারেন কুয়েতে , তাহলে তার ভালো বেতন ও সুবিধাসহ অনেক
ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আরেকটি ভিসা আছে যেটি হচ্ছে কুয়েত খাদেম
ভিসা।
সেখানে খাদেমের জন্য লোক নেওয়া হয়ে থাকে। যারা সেখানে
খাদেম ভিসায় কাজ করতে যান তারা ভালো বেতনের পাশাপাশি সুযোগ পেয়ে থাকেন ।
ভ্রমণের জন্য যে ভিসাটি করা হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা এবং সেটি
এজেন্সি থেকে বা কুয়েত এম্বাসি থেকে খুব সহজেই আপনি কুয়েতের টুরিস্ট ভিসার
জন্য ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে এটা জানা যেমন প্রয়োজন আছে। তেমন একটি প্রয়োজন
জানার কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত । কুয়েতে যে প্রবাসী গুলো আছে ,তাদের মধ্যে
দেখা গেছে যে বৃহত্তম তৃতীয় অবস্থানে প্রবাসী জনগোষ্ঠী হল বাংলাদেশী। কুয়েতে
যাওয়ার পর কাজের বেতন প্রথম দিকে সর্বনিম্ন হলেও ধীরে ধীরে সেটি সর্বোচ্চ আকার
ধারণ করে ।
📌আরো পড়ুন👉লেবানন কোন কাজের বেতন কত জেনে নিন
অর্থাৎ পরে যখন আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে তখন দেখা যাবে আপনার দক্ষতার সঙ্গে
সঙ্গে কর্মী হিসেবে বেতন বাড়ানো হয়ে যাবে। কুয়েত সরকার দ্বারা বেতন এর যে
নির্ধারণ করা আছে সেটির সর্বনিম্ন হচ্ছে ৬০দিনারের মত । যা বাংলাদেশী টাকায়
সাধারণভাবে হিসাব করলে পাওয়া যায় বিশ হাজার টাকার মত। কিন্তু বর্তমানে
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার টাকা ।
বর্তমানে
প্রত্যেক কর্মীকে সর্বনিম্ন ১০০ দিনার করে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এইখান থেকে
বেতন ভালো করতে চাইলে আপনাকে বেশি পরিমাণে কাজ করতে হবে ও নিজেকে ধীরে ধীরে
দক্ষ করে তুলতে হবে সময়ের সাথে সাথে।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
কুয়েত কোন ভিসা ভালো?
কুয়েতে সাধারণভাবে দেখা গেছে যে সবচেয়ে ভালো ভিসা হচ্ছে কোম্পানি ভিসা নিয়ে
গেলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যেয়ে থাকে যেমন থাকা খাওয়া এসব নিয়ে একটা
ভালো ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যায়।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০
হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ টু কুয়েত কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব হয়ে থাকে প্রায় ৪ হাজার ২৮৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে?
কুয়েত যেতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত ঘন্টা সময় লাগে।
লেখকের শেষ মতামত
বয়সটা কুয়েত যাওয়ার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সঠিক বয়সে কুয়েতে যেতে
পারলে আপনি হতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী এবং প্রতিষ্ঠিত। আর তাই
কুয়েতে ভিসা করার আগে আপনি কত বছর বয়স যেতে পারবেন সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে
জেনে নিয়ে তবে আপনি আবেদন ফরম পূরণ করবেন।
কুয়েত একটি আমিরাত দেশ
এবং উন্নত দেশ। কুয়েতি দিনার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। সেখানে
কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে । সেই ক্ষেত্রে আপনি কুয়েতে যাওয়ার জন্য কুয়েতি
ভিসা ফরম সম্পর্কে জেনে নিতে আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আশা করি
কুয়েতে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জেনে বয়স কত হবে ভিসাতে সে তথ্যগুলো সঠিকভাবে
জানতে পেরেছেন। খুব তাড়াতাড়ি কুয়েতে পাড়ি জমান। সেখানে ভালো কাজ নিয়ে
নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে , উন্নত জীবনমান তৈরি করুন।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url