২০২৫ সালে ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা, অনেকে ডেনমার্ক যেতে চান, বিশেষ করে
শিক্ষার উদ্দেশ্যে, কাজের উদ্দেশ্যে, ব্যবসা অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন
প্রয়োজনে ডেনমার্ক যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত তারা ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকের
চাহিদা এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন।
যারা বিদেশে যেতে চান অধিকাংশ ব্যক্তিদের স্বপ্ন ডেনমার্কে গিয়ে কাজ করবেন।
অন্যান্য দেশের চাইতে ডেনমার্কের কাজের প্রচুর বেতন। তাই প্রতিনিয়ত তারা
ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন। ডেনমার্ক কাজের জন্য যেতে
হলে ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা
বর্তমানে ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা খুব বেশি নয়, তবে কিছু নির্দিষ্ট
খাতে বিশেষ করে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য সীমিত সুযোগ রয়েছে। ডেনমার্কের শ্রমবাজার
অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এবং এখানে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর
নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়।
ডেনমার্কের শ্রমবাজারের ধরন
ডেনমার্কের শ্রমবাজার অন্যান্য অনেক দেশের থেকে ভিন্ন। এখানে কোনো সরকারি ন্যূনতম
বেতন নেই, বরং শ্রমিক ইউনিয়ন এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে বেতন
নির্ধারিত হয়। এই কারণে, নিয়োগকর্তারা তুলনামূলকভাবে কম বেতনে শ্রমিক নিয়োগ
করতে পারেন না। তারা এমন শ্রমিকদের খোঁজ করেন যাদের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা রয়েছে
এবং যারা তাদের উচ্চ বেতনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।
যেসব খাতে সুযোগ থাকতে পারে
কৃষি খাত: ডেনমার্কে কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কিছু সংখ্যক বিদেশি
শ্রমিক কাজ করেন। ফল ও সবজি তোলা, খামারে কাজ করা, এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ
কারখানায় কাজের জন্য সীমিত চাহিদা থাকতে পারে। তবে, এই কাজগুলো সাধারণত মৌসুমি
হয়ে থাকে।
পরিচ্ছন্নতা এবং গৃহস্থালী কাজ: কিছু ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ব্যক্তিগত
গৃহস্থালী কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
বিশেষজ্ঞ পেশা: তথ্য প্রযুক্তি (IT), ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য
উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন খাতে বিদেশি পেশাদারদের জন্য সুযোগ রয়েছে। তবে, এই ধরনের পদে
কাজ করতে হলে ডেনমার্কের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ
ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট: ডেনমার্কে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া বেশ কঠিন।
নিয়োগকর্তাকে প্রমাণ করতে হয় যে, এই কাজের জন্য ডেনমার্ক বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
মধ্যে কোনো যোগ্য প্রার্থী নেই।
ভাষার বাধা: ডেনিশ ভাষা জানা থাকলে চাকরির সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। বেশিরভাগ
চাকরির জন্য ইংরেজি বা ডেনিশ ভাষায় ভালো দক্ষতা প্রয়োজন।
উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়: ডেনমার্কে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। তাই, যে বেতন
পাওয়া যাবে তা দিয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ এবং অন্যান্য ব্যয় মেটানো একটি বড়
চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ডেনমার্কে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ব্যাপক চাহিদা নেই। যারা যেতে আগ্রহী, তাদের
অবশ্যই সুনির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করা উচিত এবং বৈধ পথে ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের
জন্য আবেদন করতে হবে। যেকোনো ধরনের দালাল বা অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়ার
চেষ্টা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ডেনমার্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডেনমার্কে বেশ কিছু কাজের চাহিদা রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন কর্মখাত গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন
পেশাজীবীর চাহিদা রয়েছে। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সেই কাজগুলো করতে পারবেন।
বিশেষ করে ডেনমার্কের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায় ডাক্তার, নার্স,
ফিজিওথেরাপিস্ট, কেয়ারগিভার পোস্ট।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং খাত গুলোতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার,
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পরিবেশ প্রকৌশলী পদে কাজের চাহিদা বেশি। এছাড়া নির্মাণ
প্রকল্পের জন্য কার্পেন্টার, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, মেশিন অপারেটর এর দক্ষ
কর্মের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
এছাড়া বেশ কিছু কর্ম ক্ষেত্রে যেমন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে, শেফ, ওয়েটার,
হাউজকিপিং এর কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে আপনি যদি ভাল বেতনে ডেনমার্ক গিয়ে কাজ
করতে চান এক্ষেত্রে নির্মাণ প্রকল্পের ট্রেনিং নিয়ে সেখানে গিয়ে কাজ করতে
পারেন। কেননা নির্মাণ প্রকল্পের পথ গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে।
ডেনমার্কে কাজ পেতে হলে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন
কাজের জন্য ইংরেজি ভাষার ভালো দক্ষতা এবং কিছু ক্ষেত্রে ডেনিশ ভাষা জানা থাকলে
কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। যেকোনো ধরনের চাকরির জন্য বৈধ ভিসা এবং ওয়ার্ক
পারমিট অপরিহার্য। তাই, কোনো ধরনের দালাল বা অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়ার
চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে ও ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন তা
অনেকেই জানেন না। আমাদের বাংলাদেশী ভাইয়েরা প্রবাসে গিয়ে পরিশ্রম করে দেশের
জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। অনেকে ভিন্ন ভিন্ন দেশে গিয়ে কাজ করছেন। আবার
অনেক বাংলাদেশী ভাইয়েরা ডেনমার্ক গিয়ে কাজ করবেন বলে ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা সম্পর্কে খোঁজ করেন।
বর্তমানে ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। তারা কাজের জন্য ভিসা
অ্যাপ্রভাল দিচ্ছে না। আপনি যদি ডেনমার্কে কাজের জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে যেতে
পারবেন। তবে আপনাকে কিছু ভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে হবে। এখন ডেনমার্ক যাওয়ার জন্য
পরিমাণ বাংলাদেশিরা ভিন্ন উপায় অনুসরণ করছে। আপনি চাইলে সেই উপায় গুলো অনুসরণ
করে ডেনমার্ক যেতে পারেন।
এখন যে ভিসাতে দ্রুত এপ্রুভাল হচ্ছে তা হল স্টুডেন্ট ভিসা, ও টুরিস্ট ভিসা। আপনি
যদি ডেনমার্ক এ গিয়ে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে
আবেদন না করে স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করুন। যেকোনো একটি ভিসা
অ্যাপ্রভাল হলে ডেনমার্ক যেতে পারবেন।
আপনি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় ডেনমার্ক দিয়ে অল্প কিছু টাকা খরচ করে
ভিসা মাইগ্রেট করতে পারবেন। মাইগ্রেট করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে পরিবর্তন করতে
পারবেন। এরপর কোম্পানির আন্ডারে অথবা ব্যক্তিগতভাবে হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, অথবা
অন্যান্য কর্মক্ষেত্র গুলোতে কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশীরা সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা
অথবা টুরিস্ট ভিসায় ডেনমার্ক যেতে পারবেন।
ডেনমার্ক যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কে যাওয়ার একটি সহজ উপায় হলো স্টুডেন্ট ভিসা।
শিক্ষার্থীরা এই ভিসার মাধ্যমে তুলনামূলক সহজে ইউরোপের এই সুন্দর দেশে যেতে পারে।
তবে, কেউ যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাও নিতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের ডেনমার্কের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
ভর্তির প্রমাণপত্র স্বরূপ অফার লেটার লাগে। শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা হিসেবে ইংরেজি
ভাষা দক্ষতা ও আর্থিক সক্ষমতা থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে
ডেনমার্কে যেতে হলে, প্রথমে একটি বৈধ কাজের প্রস্তাব বা ইনভাইটেশন লেটার পেতে
হবে।
এরপর সেই ইনভাইটেশন লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট হাতে পেলে আপনি ডেনমার্কের ওয়ার্ক
পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন প্রক্রিয়াটি আপনি নিজে অথবা কোনো
বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন।
ডেনমার্ক যেতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। ভিসা
ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে। ডেনমার্ক ভিসা আবেদন
করতে যেসব কাগজপত্র লাগে:
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- চাকরির অফার লেটার
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ভিসা আবেদন ফি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ট্রাভেল রেকর্ড
ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কে যাওয়ার ভিসা খরচ মূলত ভিসার ধরন এবং এজেন্সির ওপর
নির্ভর করে ভিন্ন হয়। যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করান, তাহলে খরচ
সাধারণত বেশি লাগে। তবে, নিজে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, তাহলে তুলনামূলকভাবে কম
খরচে ডেনমার্ক যেতে পারবেন।
📌আরো পড়ুন👉ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স টিকেট দাম ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যেতে প্রায় ৬ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ
হতে পারে। তবে, আপনি যদি ট্যুরিস্ট বা স্টুডেন্ট ভিসায় যান, তাহলে তুলনামূলকভাবে
কম খরচ হয়, সেক্ষেত্রে খরচ ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনা বা কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপের এই দেশে যেতে আগ্রহী,
তাদের সবার আগে ডেনমার্ক ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। খরচ
সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য
আবেদন করতে পারবেন।
ডেনমার্ক যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কে যাওয়ার জন্য বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে,
ডেনমার্কের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যেতে চাইলে, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী
আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
ডেনমার্ক টাকার মান কত ২০২৫
যারা ডেনমার্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করতে যাবেন, তাদের অনেকেই ডেনমার্কের
টাকার মান সম্পর্কে জানতে চান। কারণ, ওই দেশে কাজ করে আপনি যে পরিমাণ ডেনিশ
ক্রোনার আয় করবেন, তা বাংলাদেশি টাকায় কত হবে, সেটা প্রত্যেক প্রবাসীই জানতে
আগ্রহী। ডেনমার্কের টাকার মান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতেই থাকে।
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
বিশ্ববাজারে মুদ্রার মান কমবেশি হলে প্রত্যেকটি দেশের টাকার মান কমবেশি হয়। তবে
খুব একটা কম বেশি হয় না কিছুটা পরিবর্তন হয়। ডেনমার্কের মুদ্রার নাম ড্যানিশ
ক্রোন যা সংক্ষেপে DKK হিসেবে পরিচিত। ড্যানিশ ক্রোনের মূল্য প্রতিদিন বাংলাদেশি
টাকায় কম বেশি হতেই থাকে নিচে ডেনমার্কের টাকার মান কত তা দেওয়া হলঃ
- ডেনমার্ক ১ টাকা বাংলাদেশের ১৯.১৮ টাকা
- ডেনমার্ক ১০০ টাকা বাংলাদেশের ১৯১৮ টাকা
- ডেনমার্ক ১০০০ টাকা বাংলাদেশের ১৯,১৮৪ টাকা
তবে, এই হারটি সব সময় একই থাকে না। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের ওঠানামা,
বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতির উপর নির্ভর করে
প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়।ব্যাংক থেকে টাকা পাঠালে বা ভাঙালে বিনিময় হার কিছুটা
ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত, ব্যাংক রেট খোলা বাজারের রেটের চেয়ে কিছুটা কম হয়। আপনি যদি Wise,
Remitly বা অন্যান্য মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠান, তাহলে তারা
বাজারের বর্তমান রেট অনুযায়ী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট হার দেবে, যা কিছুটা ভিন্ন
হতে পারে।
ডেনমার্ক বা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো বড় পরিবর্তন হলে, যেমন
মুদ্রাস্ফীতি বা সরকারের নতুন নীতি, তার প্রভাব সরাসরি বিনিময় হারের ওপর পড়ে।
সবচেয়ে সঠিক এবং আপডেট হার জানার জন্য, আপনি আমাদের এই পেইজটি নিয়মিত ভিজিট
করতে পারেন কেননা আমরা ওয়েবসাইটের প্রতিটা তথ্য আপডেট করে থাকি।
ডেনমার্কের সর্বনিম্ন বেতন কত
ডেনমার্ক এমন একটি দেশ যেখানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন
বেতন নেই। এই বিষয়টি অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, কারণ বেশিরভাগ দেশেই একটি
নির্দিষ্ট ন্যূনতম মজুরি থাকে। তাহলে প্রশ্ন হলো, সেখানে শ্রমিকরা কীভাবে বেতন
পান? ডেনমার্কে বেতন মূলত শিল্পভিত্তিক বা পেশাভিত্তিক চুক্তি-এর মাধ্যমে
নির্ধারিত হয়।
📌আরো পড়ুন👉মালয়েশিয়া ১৫০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এবং নিয়োগকর্তাদের সংগঠনগুলো মিলে এই চুক্তিগুলো
করে থাকে। এই চুক্তিগুলোতে প্রতিটি পেশার জন্য একটি সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ
করা হয়, যা নিয়োগকর্তারা মেনে চলতে বাধ্য। উদাহরণস্বরূপ, একটি নির্দিষ্ট
শিল্পের জন্য ইউনিয়ন এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টায়
সর্বনিম্ন বেতন হতে পারে ১৫০ ডেনিশ ক্রোনার (DKK) বা তার বেশি।
এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে শ্রমিকরা তাদের কাজের জন্য একটি ন্যায্য বেতন পান,
যা জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ডেনমার্কে সর্বনিম্ন বেতন
নির্দিষ্ট না থাকলেও, বিভিন্ন পেশার গড় বেতন বেশ উচ্চ। যেমন:
- একজন সাধারণ শ্রমিকের ঘণ্টাপ্রতি বেতন প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০ DKK হতে পারে।
- হসপিটালিটি খাতে কর্মচারীরা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ DKK আয় করতে পারেন।
- দক্ষ পেশাদার যেমন—শিক্ষক, নার্স, বা প্রকৌশলীরা এর চেয়ে অনেক বেশি বেতন পান।
সুতরাং, যদিও ডেনমার্কে কোনো সরকারি ন্যূনতম বেতন নেই, সেখানে শ্রমিক ইউনিয়ন
এবং পেশাদার সংগঠনগুলো নিশ্চিত করে যে কেউ কম বেতনে কাজ করবে না। এটি
ডেনমার্কের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক মডেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শ্রমিকদের
অধিকার এবং ন্যায্য মজুরি রক্ষা করে।
ডেনমার্ক সুযোগ সুবিধা
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য
দেশের চাইতে শিক্ষার্থীরা ডেনমার্কে প্রচুর সুযোগ সুবিধা পাবেন। আমাদের
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা হায়ার স্টাডির জন্য বিভিন্ন দেশে যান। আমেরিকা,
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শিক্ষার জন্য যান।
কিন্তু এই দেশগুলোতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে করাকরি নীতি আরোপ করেছেন। ফলে
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা থাকার পরেও ওই দেশগুলোতে খুব কম সংখ্যক
শিক্ষার্থী যেতে পারছেন হায়ার স্টাডির জন্য। কিন্তু ওই দেশগুলোর তুলনায়
ডেনমার্কে যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আছে তা কোন অংশে ওই দেশগুলোর চাইতে কম নয়।
ডেনমার্কে ১৫টির ও বেশি পাবলিক ইউনিভার্সিটি রয়েছে আপনি সেই ইউনিভার্সিটি
গুলোতে আপনার পছন্দ অনুযায়ী সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারবেন। কোর্স শেষ করার পর
রয়েছে চাকরির সুযোগ। কোর্স চলাকালীন সময়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরিও করতে
পারবেন। নিয়মিত ক্লাস করতে হবে এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। যা শিক্ষার্থীদের
জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক।
সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে ডেনমার্ক যেতে সাধারণত প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা সময়
লাগে।
ডেনমার্ক টাকার মান কত?
ডেনমার্ক ১ ক্রোন সমান বাংলাদেশের প্রায় ১৯ টাকা।
বাংলাদেশ টু ডেনমার্ক বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কের বিমান ভাড়া সাধারণত প্রায় ৯৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ
টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ডেনমার্ক যেতে কত পয়েন্ট লাগে?
ডেনমার্কের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের
চাহিদা অনুযায়ী আইইএলটিএস (IELTS) পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫.৫ থেকে ৬.৫ স্কোর থাকতে
হবে।
লেখকের শেষ মতামত
বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনা, ভ্রমণ অথবা কাজের জন্য ডেনমার্ক যেতে আগ্রহী,
তাদের আগে জানা দরকার ডেনমার্ক যেতে মোট কত টাকা খরচ হতে পারে। ডেনমার্ক উত্তর
ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের একটি খুবই সমৃদ্ধ দেশ।
এটি তার আধুনিক জীবনযাত্রা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা
ব্যবস্থার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ডেনমার্কে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
যেমন: উচ্চশিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ ইত্যাদি। এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে
যাওয়ার প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক সহজ হয়।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই উন্নত দেশে যেতে আগ্রহীদের ডেনমার্কে বাংলাদেশি
শ্রমিকের চাহিদা ও ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে
হবে। এছাড়াও ডেনমার্ক যাওয়ার সহজ উপায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বয়সসীমা
ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url