নরওয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত - নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে (আপডেট তথ্য)
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই পড়ালেখা কিংবা কাজের জন্য নরওয়ে যেতে আগ্রহী। এই
আগ্রহীদের জন্য নরওয়ের সর্বনিম্ন বেতন এবং সেখানে যেতে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে,
তা জানা জরুরি। নরওয়ে পৃথিবীর অন্যতম একটি শান্তিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন দেশ, যেখানে
অপরাধের হারও অনেক কম।
তবে এই দেশে জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। নরওয়ের অর্থনীতি মূলত তেল,
গ্যাস, মৎস্য এবং পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপের এই
দেশটিতে যেতে আগ্রহী, তাদের নরওয়ে যেতে কত খরচ হতে পারে, সেই সম্পর্কে জানা
প্রয়োজন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
নরওয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত
নরওয়েতে সাধারণত কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে। যদিও এই দেশে সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত কোনো সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নেই, তবুও একজন নরওয়ের নাগরিকের জন্য
কাজের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত কাজের বেতন কত জেনে নিন
নরওয়েতে প্রবাসী কর্মীরা স্থানীয়দের তুলনায় কিছুটা কম বেতন পেতে পারেন। এই
দেশে একজন কর্মীকে সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এর বাইরে
অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে ধরা হয় এবং তার জন্য আলাদা মজুরি দেওয়া
হয়।
নরওয়ে কাজের বেতন কত?
নরওয়ে ইউরোপের একটি উন্নত দেশ, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেনভুক্ত হওয়া
সত্ত্বেও এখানে সরকার-নির্ধারিত কোনো সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নেই। সাধারণত, এই
দেশে প্রতি ঘণ্টা হিসেবে কাজের বেতন হিসাব করা হয়।
বর্তমানে নরওয়েতে কাজের বেতন প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এদেশের নাগরিকদের গড় মাসিক বেতন প্রায় ৪,৭০০ ডলার। তবে কাজের ধরন, শিক্ষাগত
যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বেতনের পরিমাণ ভিন্ন হয়।
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে?
নরওয়ে যেহেতু ইউরোপের একটি উন্নত দেশ, তাই সেখানে যেতে খরচ কিছুটা বেশি হয়।
তবে কী পরিমাণ খরচ হবে তা নির্ভর করে আপনার আবেদনের পদ্ধতির ওপর। যদি কোনো
এজেন্সির মাধ্যমে নরওয়ে যাওয়ার আবেদন করেন, তাহলে খরচ ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা
পর্যন্ত হতে পারে
কারণ এজেন্সিগুলো আপনার ভিসা প্রসেসিং, প্লেনের টিকিট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক
সব কাজ করে দেয়, তাই খরচ একটু বেশি লাগে। অন্যদিকে, আপনি যদি নিজে আবেদন করতে
পারেন, তাহলে খরচ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হয়। নরওয়ে যেতে হলে ৩ থেকে ৪ লক্ষ
টাকার মধ্যে খরচ হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায়, টুরিস্ট বা স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম হয়।
বিশেষ করে স্কলারশিপের সুযোগ থাকায় স্টুডেন্ট ভিসা বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যেতে চান, তাহলে এই খরচটি মাথায় রাখতে পারেন। বাংলাদেশ
থেকে নরওয়ে যাওয়া কিছুটা কঠিন হওয়ায় খরচটাও একটু বেশি হয়।
তবে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পান, তাহলে এই খরচটা
সাধারণত ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো হতে পারে। নরওয়েতে যাওয়ার খরচ ভিসার
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়। স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসার খরচ সাধারণত কম
থাকে। বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা মূলত পড়ালেখার উদ্দেশেই সবচেয়ে বেশি
নরওয়েতে যান।
নরওয়ে যেতে কত বছর বয়স লাগে?
নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে, তা জানার পর অনেকের মনেই নরওয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তৈরি
হয়, কারণ এটি ইউরোপের একটি উন্নত দেশ। নরওয়েতে ভ্রমণ, পড়ালেখা বা কাজের
উদ্দেশ্যে যেতে হলে বয়স সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়।
📌আরো পড়ুন👉সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে
ভ্রমণের জন্য নরওয়েতে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। তবে, যদি আপনার বয়স ১৮
বছরের নিচে হয়, তাহলে অভিভাবকসহ ভ্রমণ করা বাধ্যতামূলক। আর কাজের ভিসা পেতে
হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। ভিসা পাওয়ার জন্য ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়স
হলে সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সর্বোচ্চ কোনো বয়সসীমা
নরওয়েতে নেই।
ইউরোপের একটি দেশ হওয়াতে সেখানে কাজের বেতনটা একটু বেশি। উন্নত জীবনযাপন
নিরাপদ দেশ হওয়াতে প্রবাসী প্রেমীদের জন্য একটু বেশি ভালোলাগা তৈরি হয়ে থাকে
এই নরওয়ে দেশের প্রতি।
নরওয়ে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
যে কোনো প্রবাসী যদি নরওয়েতে স্থায়ীভাবে কাজ পেয়ে থাকতে পারেন, তাহলে তার
জীবন অনেক সমৃদ্ধ হবে এবং ধীরে ধীরে কাজের মানও উন্নত হতে থাকবে। অভিজ্ঞতার
সঙ্গে সঙ্গে কাজের দক্ষতা এবং বেতনও বাড়তে থাকে। এ কারণেই নরওয়ে আমাদের কাছে
একটা স্বপ্নের দেশ। নরওয়েতে যেতে যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন, সেগুলো নিচে
আলোচনা করা হলো:
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাজের অফার লেটার
- নিয়োগ কর্তার চুক্তিপত্র
- সিভি
- স্বাস্থ্য সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- কাজের দক্ষতার প্রমাণ
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
নরওয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদেশের একটি বিশেষ
বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে একটানা ছয় মাস দিন থাকে এবং পরবর্তী ছয় মাস রাত থাকে।
যারা কাজের ভিসা নিয়ে এই উন্নত দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা যেতে চান,
তাদের জন্য নরওয়েতে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি, তা জানা অত্যন্ত জরুরি।
নরওয়ে ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশ।
নরওয়ে একটি উন্নত দেশ হওয়ায় এখানে অনেক ধরনের কাজের সুযোগ আছে। তবে যারা
সেখানে যেতে চান, তাদের জন্য আগে থেকে নরওয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সে
সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাওয়া ভালো। মনে রাখবেন, সব দেশেই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার
মূল্য বেশি।
এসব কারণে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের নরওয়েতে বেশ ভালো বেতন দেওয়া হয়। তাই কোনো
কাজে দক্ষতা অর্জন করে যেতে পারলে সেখানে ভালো আয় করা সম্ভব। কাজের পাশাপাশি
সেখানে উন্নতমানের পরিবেশও পাওয়া যায়। সাধারণত যে সেক্টরগুলোতে ভালো বেতন
দেওয়া হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কনস্ট্রাকশন, কৃষি ও ফার্মিং, ক্লিনিং
স্টাফ, ইলেকট্রনিক্স, হসপিটালিটি এবং গবেষণা।
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন
এছাড়াও নরওয়েতে বর্তমানে আরও বেশ কিছু কাজের চাহিদা আছে সেগুলো হলঃ
- Plumber
- ইলেকট্রিশিয়ান
- নির্মাণ শ্রমিক
- ক্লিনার
- রেস্টুরেন্ট কর্মী
- হোটেল কর্মী
- ডেলিভারি ম্যান
- ড্রাইভিং
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নরওয়ে যেতে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে, তা অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত। কারণ, সেখানে
সব সময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় না; এই ভিসা মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়।
যেহেতু আপনি সেখানে কাজের জন্য যেতে চান, তাই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে
ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
যেহেতু নরওয়েতে কাজের বেতন বেশ ভালো, তাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে
অবশ্যই কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট সাথে নিতে হবে। কোনো এজেন্সির মাধ্যমে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করলে, সেখানেও আপনার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে
হবে।
এতে করে সেখানে গিয়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজ পাবেন। উচ্চমানের জীবন পেতে হলে
পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নরওয়ে এসে
একটি উন্নত জীবনযাপন শুরু করুন। নরওয়েতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যে
কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে, তা নিচে দেওয়া হলো:
- তাদের দক্ষতা সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল রিপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট
- পূর্বের ট্রাভেলের প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন পড়ে)
- কাজের অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়ার উপায়
নরওয়েতে কয়েক ধরনের ভিসা পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ থেকে যারা যেতে চান ,
নরওয়েতে ভিসা পাওয়া তাদের জন্য অনেকটা কঠিন অর্থাৎ প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল।
দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকে কিছু ছাত্র-ছাত্রী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্টুডেন্ট
আবেদন করে থাকেন এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সকল কাজ যখন সম্পূর্ণ হয় তখন ভিসা পেতে
অনেকটা ঝামেলায় পড়ে।
📌আরো পড়ুন👉জার্মানি ভিসা পাওয়ার উপায় জেনে নিন
শুধু তাই নয় বাংলাদেশীদের জন্য নরওয়ে যাওয়া অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়। তবে যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা করা যেতে পারে তা
হলঃ
- নরওয়ে স্টুডেন্ট ভিসা
- নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- নরওয়ে টুরিস্ট ভিসা
নরওয়ে যেতে চাইলে সাধারণত তিনটি ভিসার মাধ্যমে যাওয়া সহজ। এদের মধ্যে অনেকেই
পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নরওয়েতে যান। ইউরোপের এই দেশটি
শেনজেনভুক্ত হওয়ায় টুরিস্ট ভিসাকে সেখানে শেনজেন ভিসা বলা হয়। ভ্রমণের জন্য
৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সময়সীমা থাকে।
আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নরওয়েতে সব সময় পাওয়া যায় না, এটি মাঝে মাঝে দেওয়া
হয়। যদি এই ভিসায় যেতে চান, তবে আপনার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট, ব্যাংক
স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্টসহ
অভিজ্ঞতার কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
নরওয়েতে কোন কাজের বেতন বেশি
নরওয়ে যেতে কত খরচ হয়, তা জানার আগে দেশটি সম্পর্কে জানা জরুরি। ইউরোপের এই
দেশটিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় কর্মীদের বেতন বেশি। কারণ নরওয়েতে যেমন কাজের
বেতন বেশি, তেমনি জীবনযাত্রার খরচও বেশি। তেমনি সেখানে জীবনযাত্রার খরচও কম
নয়।
এই দেশে সরকারিভাবে কোনো কাজের জন্য নির্দিষ্ট বেতন নির্ধারণ করা নেই। বেতন
নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার ওপর। যদি কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি কাজে যোগ দেন,
তাহলে তার বেতনের পরিমাণও বেশি হয়। যারা গবেষণামূলক কাজে যুক্ত থাকেন, তাদের
বেতন সবচেয়ে বেশি হয়।
যদিও নরওয়েতে কোনো নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নেই, তবুও সাধারণত বয়স,
দক্ষতা এবং যোগ্যতা বিবেচনা করে সবার বেতন নির্ধারণ করা হয়। আপনার বয়স যদি
১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে নরওয়ের নিয়োগকর্তারা প্রতি ঘণ্টা হিসেবে আপনার
কাজের বেতন নির্ধারণ করবেন।
নরওয়েতে যেসব খাতে বেশি বেতন দেওয়া হয়, সেগুলো হলো:
- কৃষি ও ফার্মিং
- কনস্ট্রাকশন
- ক্লিনিং স্টাফ
- সি ফুড ওয়ার্কার্স
- ইলেকট্রনিক্স হসপিটালিটি
- রিসার্চ
FAQs
নরওয়েতে কি সরকারিভাবে কোনো সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত আছে?
না, নরওয়েতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নেই। বেতন
সাধারণত আপনার পেশা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের চুক্তির ওপর নির্ভর করে।
নরওয়েতে একজন কর্মীর গড় মাসিক বেতন কত হতে পারে?
নরওয়েতে একজন দক্ষ কর্মীর গড় মাসিক বেতন ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা বা তার বেশি
হতে পারে। তবে এটি কাজ এবং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
নরওয়েতে প্রতি সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করতে হয়?
সাধারণত নরওয়েতে প্রতি সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এর অতিরিক্ত কাজ
করলে তা ওভারটাইম হিসেবে ধরা হয় এবং বাড়তি মজুরি দেওয়া হয়।
নরওয়ে যেতে একজন বাংলাদেশির মোট কত টাকা খরচ হতে পারে?
নরওয়ে যাওয়ার মোট খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন এবং আপনি নিজে আবেদন করছেন নাকি
কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন, তার ওপর। সাধারণত, এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ১২
থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় নরওয়ে যেতে খরচ কত হতে পারে?
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় নরওয়ে যেতে খরচ সাধারণত ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত
হতে পারে। এই খরচে ভিসার আবেদন ফি, প্লেন ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ
অন্তর্ভুক্ত থাকে।
স্টুডেন্ট ভিসায় নরওয়ে যেতে কি খরচ কম হয়?
হ্যাঁ, স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ সাধারণত কম হয়, বিশেষ করে যদি আপনি স্কলারশিপের
সুযোগ পান। অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করে খরচ
মেটান।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে, নরওয়েতে কাজের জন্য যেতে হলে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর জোর
দেওয়া জরুরি। কারণ, সেখানে ভালো কাজের সুযোগ পেতে হলে দক্ষতার বিকল্প নেই।
নরওয়েতে জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত, তাই ভালো বেতন এবং উন্নত জীবন পেতে হলে
পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনা দুটোই দরকার।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url