লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শেনজেনভুক্ত দেশ
লিথুনিয়া একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে। যারা লিথুনিয়ায় কাজের ভিসা নিয়ে যেতে
আগ্রহী, তাদের জন্য লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রক্রিয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত সবকিছু জানা জরুরি।
লিথুনিয়া ইউরোপের একটি দেশ হওয়ায় এখানে কাজের বেতন বেশ ভালো। আর শেনজেনভুক্ত
দেশ হওয়া সত্ত্বেও, এখানকার ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। তাই লিথুনিয়ার
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুনিয়া সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। তাই যারা কাজের ভিসা
নিয়ে এই দেশে যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। নিজে নিজে কাজের ভিসার আবেদন করার আগে,
কাজের অফার লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট থাকা আবশ্যক।
তবে এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করলে, তারাই আপনার জন্য
কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে দেবে। সেক্ষেত্রে, আপনাকে শুধু
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তবে এর জন্য এজেন্সিকে মোটা
অঙ্কের টাকা ফি দিতে হয়।
যদি আপনি নিজে কাজের অফার লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে চান, তাহলে
লিথুনিয়ার বিভিন্ন জব পোর্টালে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
কোনো কোম্পানি আপনাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করলে তারা আপনাকে জব অফার লেটার এবং
ওয়ার্ক পারমিট পাঠিয়ে দেবে। এরপর আপনি অনলাইনে অথবা সরাসরি দূতাবাসে গিয়ে
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং কি কি লাগে?
লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের
প্রয়োজন হয়। নিচে সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো:
📌আরো পড়ুন👉ফিনল্যান্ড যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- ইউরোপিয়ান স্টাইল সিভি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- স্কিল সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- কাজের অফার লেটার
- ওয়ার্ক পারমিট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন অনলাইনে করা যায় না। এর জন্য আপনার
নিকটস্থ লিথুনিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। প্রথমে দূতাবাসে গিয়ে ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা সম্পর্কে সব প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন। এরপর দূতাবাস থেকে ভিসার
আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে ভিসার আবেদন ফরমটি পূরণ করতে
পারেন। তবে যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তাহলে সব
কাজ তারাই নিজ দায়িত্বে করে দেবে। সেক্ষেত্রে, বেসরকারি এজেন্সিগুলোকে একটি
মোটা অঙ্কের ফি দিতে হয়।
এজেন্সিকে কেবল কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হয়। তবে,
এজেন্সিকে অগ্রিম টাকা দিয়ে ভিসার কাজ করালে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
থাকে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে, প্রথমে একটি ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার ফরম প্রয়োজন। এই ভিসার আবেদন অনলাইনে করা যায় না, তাই আপনাকে সরাসরি
লিথুনিয়ার দূতাবাস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
📌আরো পড়ুন👉সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা পাওয়ার নিয়ম
অনেকেই লিথুনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, কিন্তু ওয়ার্ক ভিসার
আবেদন ফরম সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। লিথুনিয়াতে কাজের ভিসার আবেদন করার
আগে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফরমটি প্রয়োজন হয়। তবে এই ফরমটি অনলাইন থেকে
ডাউনলোড করা যায় না।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হয়। এই
ফরমটি আপনি লিথুনিয়ার দূতাবাস থেকে পেতে পারেন। এই আবেদন ফরম ছাড়া ভিসার
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, আর এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দিতে
হয়।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লিথুনিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে
হয়। নিচে উল্লিখিত এই কাগজপত্রগুলো ছাড়া ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব
নয়।
- পাসপোর্ট
- আবেদনকারী সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- ইউরোপিয়ান স্টাইলে সিভি
- আইইএলটিএস স্কোর (যদি লাগে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- স্কিল সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- কাজের অফার লেটার
- ওয়ার্ক পারমিট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
অনেকেরই ইচ্ছা থাকে ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার, কিন্তু তারা জানেন না সেখানে
যেতে কত খরচ হতে পারে। লিথুনিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং
এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেনভুক্ত। স্বপ্নের দেশ লিথুনিয়ায় যেতে ইচ্ছুক
ব্যক্তিদের জন্য সেখানে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা জরুরি।
অন্যথায়, লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য আর্থিকভাবে প্রস্তুত হওয়া কঠিন হবে। তাই
সবারই উচিত লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে, তা জেনে নেওয়া। এতে করে বিভিন্ন
বেসরকারি এজেন্সি বা দালাল ভিসার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না। লিথুনিয়া
যাওয়ার খরচ ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে।
যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। সাধারণত, স্টুডেন্ট
ও ভিজিট ভিসার খরচ কাজের ভিসার চেয়ে কম হয়। বর্তমানে, লিথুনিয়ায় কাজের ভিসা
নিয়ে যেতে প্রায় ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যেতে প্রায় ৪ থেকে ৮ লাখ টাকা
খরচ হতে পারে। আর ভিজিট ভিসায় যেতে চাইলে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগে। আপনি
যদি নিজে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন, তাহলে কেবল অফিসিয়াল খরচেই
যেতে পারবেন। তবে, বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে গেলে ভিসার খরচ অনেক
বেশি হয়।
লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ায় যেতে হলে অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন ধরনের
ভিসা নিয়ে এই ইউরোপীয় দেশে যাওয়া সম্ভব, আর প্রতিটি ভিসার ক্যাটাগরি
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ভিন্ন হয়। যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে
চান, তাহলে লিথুনিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার এবং আর্থিক
স্বচ্ছলতার প্রমাণ থাকা আবশ্যক।
কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার জন্য কাজের অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট
প্রয়োজন। লিথুনিয়া ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে ট্রাভেল রেকর্ড ও ফাইন্যান্সিয়াল
সক্ষমতা থাকা লাগে। তাহলে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে দেশটিতে যেতে পারবেন।
তবে বেসরকারি এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে লিথুনিয়া যেতে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এজেন্সি নির্দিষ্ট ফি নিয়ে থাকে। আবেদনকারীর পক্ষ
হয়ে এজেন্সি যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতারণার
সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এজেন্সিকে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করবেন না।
লিথুনিয়া যেতে কি কি লাগে
লিথুনিয়ায় যেতে হলে অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন। ভিসার আবেদন করার জন্য কিছু
নির্দিষ্ট কাগজপত্র লাগে, যা ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়।
- পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ড
- আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জব অফার লেটার (ওয়ার্ক)
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট)
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট)
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক)
- মেডিকেলে রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট)
- রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্ট)
- আইইএলটিএস স্কোর (স্টুডেন্ট)
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
লিথুনিয়া স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে বয়সের কোনো রিকোয়ারমেন্ট
নেই। তবে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে ন্যূনতম বয়স ২০ বছর হতে
হয়। কাজের ভিসা আবেদনকারীদের বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলে ভিসা
পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
লিথুনিয়া বেতন কত
লিথুনিয়া যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শেনজেনভুক্ত দেশ, তাই এখানে একটি
নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত আছে। যারা বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা নিয়ে সেখানে কাজ করেন, তাদের এই কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। তবে,
অবৈধ প্রবাসীদের বেতন সাধারণত কিছুটা কম হয়।
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত কাজের বেতন কত
বর্তমানে লিথুনিয়া কাজের বেতন প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা
হয়ে থাকে। লিথুনিয়া কাজের বেতনের পরিমাণ কাজের ক্যাটাগরি, শিক্ষাগত
যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আলাদা হয়ে থাকে। তাছাড়া শহর
অঞ্চলে কাজের বেতন গ্রামের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
লিথুনিয়া সরকার প্রতিবছর সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি করে থাকে। এজন্য লিথুনিয়া
সর্বনিম্ন বেতন কত লেটেস্ট তথ্য জানতে হবে। দেশটিতে কর্মীদের প্রতি ঘন্টা
অনুযায়ী মজুরি হিসাব করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে লিথুনিয়ায় সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এখানকার
কর্মীদের সাধারণত সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তবে যদি কেউ ওভারটাইম কাজ
করে, তাহলে তার বেতন সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে অনেক বেশি হয়।
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
লিথুনিয়া ইউরোপের মোটামুটি লেভেলের উন্নত একটি দেশ। মধ্যম আয়ের এই দেশটিতে
বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। কাজের ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যেতে
আগ্রহীদের লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে রাখা উচিত। বর্তমান
লিথুনিয়াতেঃ
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ড্রাইভিং,
- বিক্রয় কর্মী,
- হাউজকিপিং,
- ফুড ডেলিভারি,
- প্লাম্বিং,
- মোটর গাড়ি মেকানিক,
- ইলেকট্রনিক,
- কনস্ট্রাকশন,
- ওয়েল্ডিং ইত্যাদি
এ ধরনের কাজে সেখানে শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
লিথুনিয়া কোন কাজের বেতন বেশি
লিথুনিয়া ইউরোপের উন্নত দেশ। ইউরোপের এই দেশটিতে বিচারক, সফটওয়্যার
ডেভেলপার, পাইলট, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ফাইনান্স এন্ড ইন্সুরেন্স ডিপার্টমেন্টের
প্রধান, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ইত্যাদি পেশাজীবীদের বেতন সবচেয়ে বেশি
হয়ে থাকে।
বাঙালি প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং, প্লাম্বিং, ইলেকট্রনিক, ফুড ডেলিভারি
এবং কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন লিথুনিয়াতে বেশি হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া দেশ কেমন
লিথুনিয়া দেশটিতে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় কাজের পরিমাণ বেশি থাকায় তারা
শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে এবং সরকারিভাবে সেখানে শ্রমিক নিয়োগের কথা
বিজ্ঞপ্তিতে জানান সেই বিজ্ঞপ্তি জানার পরে বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনে কাজের
জন্য ভিসা আবেদন করে।
উন্নত জীবনমান ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য দেশটি অন্যতম। লিথুনিয়া কাজ বেশি
থাকার ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক সেখানে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পায় এবং
এই সুযোগে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশকে করে সমৃদ্ধ। আর জনসংখ্যাকে
জনশক্তিতে রূপান্তর করার সুযোগ করে দেয় ।
কাজের জন্য লিথুনিয়া দেশ অন্যতম, কারণ সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপরে
বেতনের মান অনেক ভালো । নতুন অবস্থায় কিছুটা কম পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে দক্ষ
হয়ে উঠলে সেখানে ভালো কাজের পাশাপাশি পারিশ্রমিকও ভালো পাওয়া যায়। আর
সেখান থেকে উন্নত জীবনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
আমাদেরকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসার সমস্ত কাগজপত্র প্রসেসিং করতে হয়
। এরপরে বলতে হয় বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আবেদন করেন
তখন তার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২০ বছর।
আর যারা স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসায় আবেদন করবেন তাদের বয়স হতে হবে
কমপক্ষে ১৮ বছর। কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার বয়স
হতে হবে ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে । এই বয়সের মধ্যে ভিসাটা করতে পারলে কাজের জন্য
তাড়াতাড়ি ভিসাটি হয়ে থাকে।
FAQs
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি অনলাইনে আবেদন করা যায়?
না, লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন অনলাইনে করা যায় না। এর জন্য
আপনাকে আপনার নিকটস্থ লিথুনিয়ার দূতাবাসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
লিথুনিয়াতে কাজের জন্য সর্বনিম্ন কত বয়স হতে হয়?
লিথুনিয়াতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে
হবে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ কেমন?
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য খরচ ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে,
যা এজেন্সি ফি, ভিসা ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে নির্ধারিত হয়।
লিথুনিয়াতে সাপ্তাহিক কাজের সময় কত ঘণ্টা?
লিথুনিয়াতে সাধারণত সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এর বেশি কাজ করলে তা
ওভারটাইম হিসেবে ধরা হয় এবং বাড়তি মজুরি দেওয়া হয়।
লিথুনিয়ার ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস
পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এটি দূতাবাসের কাজের চাপ এবং আপনার জমা দেওয়া
কাগজপত্রের ওপর নির্ভর করে।
লিথুনিয়াতে কি কাজের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ আছে?
হ্যাঁ, অনেক শিক্ষার্থী কাজের পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করে তাদের খরচ মেটান।
লিথুনিয়াতে এই ধরনের সুযোগ রয়েছে। তবে কাজের ধরন এবং ভিসার শর্তের ওপর এটি
নির্ভর করে।
লেখকের শেষ মতামত
সঠিকভাবে সব কাগজপত্র জমা দিতে পারলে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মাত্র ১২
থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে
কোনো অসাধু এজেন্সির খপ্পরে না পড়েন।
তাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে একটি প্রতিষ্ঠিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা
উচিত। তাদের কাজের ফি পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগে পরিশোধ না করাই ভালো, এতে
হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা কমে।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url