ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ - ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে 2025
অনেকেই ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছে। দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা
নিয়ে যেতে যারা আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে। দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য
ফিনল্যান্ড হতে পারে প্রথম পছন্দ।
দেশটিতে প্রযুক্তিগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পড়াশোনার পরিবেশও উন্নত।
তাছাড়া স্কলারশিপ নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়লে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ও ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
প্রসেসিং সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে হয়। এই
ভিসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করা প্রয়োজন। মানুষের মতো করে বললে, এই
যোগ্যতাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
আপনি ফিনল্যান্ডের যে স্তরে পড়ালেখা করতে ইচ্ছুক, সেই স্তরের পূর্ববর্তী শিক্ষা
আপনার থাকতে হবে। যেমন, ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে উচ্চ
মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ফিনল্যান্ডের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ভালো একাডেমিক ফলাফল প্রত্যাশা করে। তাই আপনার আগের
শিক্ষাজীবনে ভালো গ্রেড বা জিপিএ থাকা জরুরি।
২. আর্থিক সক্ষমতা:
খরচের নিশ্চয়তা: ফিনল্যান্ডে পড়ালেখা এবং থাকার খরচ চালানোর জন্য আপনার আর্থিক
সক্ষমতা দেখাতে হবে। ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পন্সরশিপের
প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়: আপনাকে দেখাতে হবে যে আপনি প্রথম বছরের টিউশন ফি
এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করতে পারবেন। সাধারণত, এটি বার্ষিক প্রায় ৬,০০০ থেকে
১২,০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে, যা আপনার পড়াশোনার শহর বা প্রতিষ্ঠানের উপর
নির্ভর করে।
৩. ভাষা দক্ষতা:
ইংরেজিতে দক্ষতা: যদি আপনি ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করতে চান, তবে আপনাকে ইংরেজিতে
আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। সাধারণত IELTS বা TOEFL-এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে
স্বীকৃত কোনো ভাষার পরীক্ষায় নির্দিষ্ট স্কোর অর্জন করতে হয়।
ফিনিশ বা সুইডিশ ভাষা: কিছু কিছু কোর্সে ফিনিশ বা সুইডিশ ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ
থাকে। যদি আপনি সেইসব কোর্সে আবেদন করেন, তাহলে সেই ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দিতে
হতে পারে। তবে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি যথেষ্ট।
৪. অন্যান্য যোগ্যতা:
ফিনল্যান্ডের কোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপনাকে অবশ্যই একটি অফিশিয়াল অফার
লেটার পেতে হবে। এটি ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না।
- আপনাকে অবশ্যই একটি স্বাস্থ্য বীমা পলিসি নিতে হবে, যা ফিনল্যান্ডে আপনার বসবাসের পুরো সময়কালের জন্য বৈধ।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ভিসা আবেদন ফরমের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে।
- ভিসা কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে আপনাকে আপনার পড়ালেখার উদ্দেশ্য এবং আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে।
এই সবগুলো যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ফিনল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা
সহজ হয় এবং ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
মোটকথা, স্টুডেন্ট ভিসা ফিনল্যান্ড যেতে হলে যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। ফিনল্যান্ড
স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা পূরণের জন্য নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে:
📌আরো পড়ুন👉দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে জেনে নিন
- পাসপোর্ট
- ছবি
- ভর্তি অফার লেটার
- টিউশন ফি পরিশোধের স্লিপ
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- ফাইনেন্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্টস (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সম্পদের দলিল)
- স্পন্সরের টিন সার্টিফিকেট
- আইইএলটিএস স্কোর (যদি লাগে)
- স্বাস্থ্য বীমা
- ভোটার আইডি কার্ড
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ডে যেতে হলে অবশ্যই ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার
খরচ কত ধারণা রাখতে হবে। ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য
স্বাস্থ্য বীমা থাকা আবশ্যক। এই স্বাস্থ্য বীমা করতে ২৫ থেকে ৭৫ ইউরো প্রয়োজন।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এক বছরের জন্য টিউশন ফি বাবদ বাংলাদেশি
টাকায় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স প্রদর্শন করতে হয়। অবশ্যই
স্পন্সরের ইনকামের উৎস থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ফিনল্যান্ডে যেতে আনুমানিক প্রায়
৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। একাডেমিক রেজাল্ট ভালো থাকলে ফুল কিংবা হাফ
স্কলারশিপ নিয়ে স্বপ্নের এই দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন।
পর্যাপ্ত ব্যাংক ব্যালেন্স না থাকলে ব্যাংকের লোকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ২ লক্ষ
টাকা জমা দিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টে বেশি টাকা প্রদর্শন করানো
যায়।
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য দেশটির কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভর্তির অফার লেটার প্রয়োজন পড়বে। যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পে
স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে। টিউশন ফি পরিশোধ করলে পে স্লিপ পাবেন। ফিনল্যান্ডের
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ইমেইল করতে হবে।
📌আরো পড়ুন👉সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
ভর্তির জন্য উপযুক্ত হলে অফার লেটার পাঠাবে। ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা নিজে
নিজে খুব সহজে প্রসেসিং করা যায়। তবে অনেকে ঝামেলা এড়ানোর জন্য বিশ্বস্ত
এজেন্সির শরণাপন্ন হয়।
এক্ষেত্রে এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
প্রসেসিং করে দেয়। এজন্য অবশ্যই এজেন্সিকে প্রসেসিং ফি দিতে হবে। এজেন্সি
ভর্তি আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কাজ নিজ দায়িত্ব করে
থাকে।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর অনলাইনে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন
করতে হবে। তবে সরাসরি ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে গিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়। আবেদন
করার সময় অবশ্যই ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে।
আবেদন করার কিছুদিন পর দূতাবাসে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হয়। এভাবে ফিনল্যান্ড
স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
ফিনল্যান্ড যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এটা যেমন জানা প্রয়োজন। তেমন ফিনল্যান্ডে ভিসার
জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন যে কাগজপত্রগুলো, সেগুলো প্রথমে প্রস্তুত করা। ভিসা
ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আলাদা ও ভিন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে যেসব কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয় তাহলোঃ
📌আরো পড়ুন👉কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে জেনে নিন
- আইইএলটিএস স্কোর (স্টুডেন্ট)
- ভোটার আইডি কার্ড
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট)
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট)
- রিকমেন্ডেশন লেটার (স্টুডেন্ট)
- জব অফার লেটার (ওয়ার্ক)
- ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট)
- মেডিকেলে রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (স্টুডেন্ট)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক)
- আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত হল ফিনল্যান্ড । আপনি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট
ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারবেন। সেখানে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে
আপনি অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন । কারণ দেশটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক
বেশি উন্নত ও এগিয়ে ।
ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য যে শর্তগুলো আছে তার মধ্যে হলো-
দেশটির সরকার স্বীকৃত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফার লেটার লাগবে। পাশাপাশি আপনার
আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে আপনি খুব সহজেই দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি
জমাতে পারবেন।
উচ্চশিক্ষার মান পৃথিবী খ্যাত হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে পড়াশোনার জন্য
ছেলেমেয়েরা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং সেখানে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার
কারণে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আপনি আবেদনের জন্য
অনলাইনে সরাসরি ভাবে ফি পরিশোধ করে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারেন।
তারপর দূতাবাসে আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেন এভাবে আপনি
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
ফিনল্যান্ড যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে আলাদা হয়ে থাকে। যেমনঃ
স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। বেসরকারিভাবে যখন আপনি
বিভিন্ন এজেন্সি থেকে ভিসা প্রসেসিং করবেন তখন খরচ একটু বেশি লাগে। বর্তমানে
কাজের ভিসা নিয়ে ইংল্যান্ডে যেতে চাইলে টাকা লাগে প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫
লাখ টাকা পর্যন্ত।
📌আরো পড়ুন👉বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
আর স্টুডেন্ট ভিসা থেকে যেতে চাইলে টাকা লাগে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ
টাকা পর্যন্ত। টুরিস্ট ভিসায় যেতে প্রায় ফিনল্যান্ডে খরচ পড়ে ৪ লাখ টাকা
থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ইউরোপের এই দেশে যেতে আপনি যদি ভিসার জন্য
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ফিনল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং করেন
তাহলে কম খরচে যেতে পারবেন।
আবার আপনি চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা করার জন্য কনসালটেন্সি
সার্ভিস নিতে পারেন। নিজে নিজে আবেদন করার জন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে ভারতের
নয়া দিল্লিতে অবস্থিত ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে।
ফিনল্যান্ড যেতে কত বছর বয়স লাগে
ভিসা আবেদন করতে আবেদনকারীদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। কাজের ভিসা যারা
করবেন সেই আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হলে ভিসা
পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
ইউরোপে ফিনল্যান্ড দেশটি শিল্পপ্রধান একটি দেশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের
সুযোগ রয়েছে । যারা স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে
যান তাদের ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা অবশ্যই জানতে হবে। কারণ সেখানে
যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষের প্রতিবন্ধকতা হলো ভিসা খরচ।
তাই উন্নত জীবনযাপন, মান সম্মত শিক্ষা যতই হোক না কেন ফিনল্যান্ডে ভিসার দাম কত
তা- না জেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া এক ধরনের বোকামি হবে । দেশটিতে ভিসা
ক্যাটাগরি তিনটি আছে এই তিন ভিসা তে আপনি যেতে পারবেন। যেমনঃ ভিজিট ভিসা,
স্টুডেন্ট ভিসা, কাজের ভিসা। প্রথমেই আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি বাছাই করে নিতে হবে
।
এরপর আবেদনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফিনল্যান্ডে ঘনসবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ
রয়েছে ।্দেশটিতে প্রাকৃতিক সম্পদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বনভূমি ।
আর প্রাচীর ঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে সুন্দর সুন্দর অত্যধিক দালান কোঠা ।
দেশটির বনভূমি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদকে
ফিনল্যান্ডের "সবুজ সোনা" নামে ডাকা হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এই
দেশটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য যেতে চাই আর এজন্যই প্রয়োজন
হয় ভিজিট ভিসা। এই ভিসা পেতে ট্রাভেল হিস্ট্রি , ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতনের
স্লিপ ইত্যাদি প্রয়োজন হবে।
আর স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ভর্তি অফার লেটার লাগবে । পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে দেশটিতে আপনার
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন খুব সহজে।
FAQs
ফিনল্যান্ডে যেতে একজন শিক্ষার্থীর মোট কত টাকা খরচ হতে পারে?
এটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন— টিউশন ফি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং
ভ্রমণের খরচ। সব মিলিয়ে প্রথম বছরের জন্য প্রায় ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ইউরো বা
তার বেশি খরচ হতে পারে।
ফিনল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি টিউশন ফি দিতে হয়?
হ্যাঁ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি দিতে হয়। সাধারণত ব্যাচেলর বা মাস্টার্স
প্রোগ্রামের জন্য এটি বার্ষিক ৪,০০০ থেকে ১৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।
ফিনল্যান্ড টিউশন ফি ছাড়া আর কী কী খরচ আছে?
টিউশন ফি ছাড়াও জীবনযাত্রার ব্যয়, যেমন— থাকার খরচ, খাবার, যাতায়াত, বইপত্র
এবং স্বাস্থ্য বীমার খরচ আছে। এক মাসের জীবনযাত্রার জন্য সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০
ইউরো প্রয়োজন হয়।
ফিনল্যান্ডে কি কোনো স্কলারশিপের সুযোগ আছে?
হ্যাঁ, অনেক ফিনিশ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন
ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। কিছু স্কলারশিপ সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করে, আবার
কিছু আংশিক খরচ বহন করে।
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের ফি কত?
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের ফি সময় সময় পরিবর্তিত হয়। এটি সাধারণত
৪০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে থাকে।
লেখকের শেষ মতামত
ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে খরচের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে
নেওয়া জরুরি। যদিও দেশটি উন্নত এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কিছুটা বেশি, তবে সঠিক
পরিকল্পনা করলে তা সামলানো সম্ভব।
সব মিলিয়ে, ফিনল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য যেতে হলে প্রথম বছরে আপনার হাতে প্রায়
১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ইউরো বা তার বেশি বাজেট রাখা উচিত। পার্ট-টাইম কাজ করার
সুযোগ থাকলেও, ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়া
বাধ্যতামূলক। তাই, আগে থেকেই আর্থিক প্রস্তুতি নিয়ে গেলে পুরো প্রক্রিয়াটি
আপনার জন্য সহজ এবং চাপমুক্ত হবে।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url