ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম

 ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম, আপনারা অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করতে চাচ্ছেন। কিভাবে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করা যায় এ সম্পর্কে জানাবো। একটি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে আপনাকে

ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-প্রফেশনাল-প্রোফাইল-সাজানো-নিয়মফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং তারপর আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে একটি প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রোফাইল তৈরি করা যায় তার সঠিক নিয়ম।

সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল কে পেশাদারী করার জন্য একটি ভাল প্রোফাইল ছবি, দক্ষতা অনুযায়ী স্পষ্ট শিরোনাম, বিস্তারিত বিবরণী, ডেসক্রিপশন এবং সঠিক মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। একজন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রোফাইল হলো তার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড। ক্লায়েন্টার প্রথমে প্রোফাইল দেখেেই বিচার করে আপনি কতটা দক্ষ ও পেশাদারী। তাই প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় প্রফেশনাল করতে সাধারণত খুব জরুরী। প্রোফাইল সাজানোর সঠিক নিয়মঃ 

আর ও পড়ুনঃ ম্যাকবুক কেনার আগে আপনার যা যা জানা জরুরী

  • ছবি ও ব্যানারঃ আপনার প্রোফাইলের জন্য একটি পরিষ্কার এবং ফরমাল ছবি ব্যবহার করুন। সেলফি বা সাধারণ ছবি ব্যবহার করা যায়। 
  • সঠিক পদবিঃ আপনি যে ধরনের কাজ করেন তার একটি পদবী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। যাতে ক্লায়েন্টের সহজে বুঝতে পারে আপনার দক্ষতা কতটুকু রয়েছে। 
  • অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাঃ আপনার সকল দক্ষতা অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান সে কাজগুলো এখানে যোগ করে দিতে পারেন। 
  • পোর্টফোলিও তৈরিঃ আপনার আগের কাজগুলো ভালোভাবে স্ক্রিনশট বা কাজের নমুনা যোগ করুন। এটি ক্লায়েন্টদের জন্য দক্ষতা প্রমাণ করতে সাহায্য করবে। 
  • ক্লায়েন্ট কেন্দ্রিক বিবরণঃ ক্লায়েন্টদের চাহিদা মাথায় রেখে আপনার বিবরণী লিখুন। আপনি কি করতে পারেন এবং কিভাবে তার সমস্যার সমাধান করতে পারেন তা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন। এতে ক্লায়েন্টরা ভালোভাবে বুঝতে পারবে। আপনি কাজে দক্ষতা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। 
  • বিশ্বাসযোগ্যতাঃ আপনার প্রোফাইল যত আকর্ষণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য হবে তত কাজ পাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। 
  • পরীক্ষাঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক সময় টেস্টের সুযোগ দেয় আপনার দক্ষতা যাচাই করার জন্য। পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে দিতে হবে এটি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করে দিবে। 

প্রফেশনাল প্রোফাইল কেন গুরুত্বপূর্ণ

প্রফেশনের প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হচ্ছে আপনার নিজের দক্ষতা যোগ্যতা এমনভাবে উপস্থাপন করা। যাতে ক্লায়েন্ট প্রথমে দেখে আপনাকে বিশ্বাস করে এবং কাজ দিতে আগ্রহ হয়। এ জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল এতটা গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের জন্য আপনার একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার জীবন বৃত্তান্ত বা অন্যান্য পেশাগত দক্ষতা তুলে ধরে। যা আপনাকে অন্যান্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করে তোলে।
ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-প্রফেশনাল-প্রোফাইল-সাজানো-নিয়ম

প্রফেশনাল প্রোফাইলের জন্য আপনার একটি পেশাগত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা। লিংকডইন LinkedIn এর মত প্লাটফর্মের প্রোফাইল তৈরি করলে আপনি নতুন পেশাগত সুযোগ তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য উপকারী। এটি সঠিক এবং আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করলে আপনি আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ ও যোগ্যতা স্পষ্ট ধারণা পাবেন। যা আপনাকে চাকরির জন্য বিবেচনা করতে উৎসাহিত করবে। 

সঠিক নাম ও প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্লাটফর্মে সঠিক নাম ও প্রোফাইল পিক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এটি বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। ভুয়া বা ডাকনাম ব্যবহার করলে ক্লায়েন্ট মনে করে আপনি সিরিয়াস নন বা আপনার কাজের কোন আগ্রহ নেই। এতে করে আপনাকে কাজ দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। সঠিক নাম ও প্রোফাইল পিক ব্যবহার করলে আপনার আর্থিক লেনদেনের কোন অসুবিধা হয় না। তা না হলে টাকা তুলতে ঝামেলা হবে। 

পেশাগত প্রতীক বা অফিসিয়াল নাম ব্যবহার করলে আপনার একজন দায়িত্বশীল ফ্রিল্যান্সার মনে হবে এবং দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভাবনা থাকে। প্রোফাইল ছবি হল ক্লাইটে চোখে আপনার এক ধরনের পরিচয় যা বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তোলে। পরিষ্কার প্রোফাইলের ছবি দিলে ক্লায়েন্ট আপনার সিরিয়াসনেস ও নির্ভরযোগ্যতা মনে করে। তবে আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেলফি, ফিলটার বা গ্রুপ ছবি যেকোনভাবে দেওয়া যাবে এতে করে প্রোফাইল আরো প্রফেশনাল মনে হবে। 

নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম প্রফেশনাল প্রোফাইলে নিয়ে নিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা তুলে ধরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এটা জানতে চাই আপনি কি কাজ পারেন, কিভাবে করেন, কি কাজ জানেন প্রতিটি কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে। নিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নিচে কিছু ধারনা দেওয়া হলো যা থেকে সহজে বোঝা যায় যে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে আপনাদের ক্ষেত্রেঃ 
  • দক্ষতা উপস্থাপন করাঃ আপনি যে কাজ করেন সেটাই স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করুন। গ্রাফিক ডিজাইন বা লুডু ডিজাইন ব্র্যান্ড, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকলে তা কিছু কাজের নমুনা উল্লেখ করুন। আপনার মূল কাজের সাথে কিছু সম্পর্কিত স্কিলগুলো উল্লেখ করুন। শক্তিশালী শব্দ ব্যবহার করুন যেমন Expert, Specialist, professional ব্যবহার করুন। ক্লাইন সার্চ করলে যেন আপনার প্রোফাইল ভেসে ওঠে এমনভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 
  • অভিজ্ঞতা তুলে ধরাঃ অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য আপনার কাজের বয়স উল্লেখ করুন এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। শুধু কাজ নয় কিভাবে ক্লাইন্টকে সাহায্য করেছেন সে সম্পর্কেও কিছু লিখুন। আপনি কোন সার্টিফিকেট অর্জন করে থাকলে বা বিশেষ প্রজেক্ট এর অভিজ্ঞ থাকলে তা সম্পর্কে আলোচনা করুন এবং রেটিং সম্পর্কে জানান এ ছাড়া এগুলোর ছবি আকারেও দিতে পারেন। 

ক্লাইন্টের সাথে দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন 

আপনাকে অবশ্যই ক্লায়েন্ট এর সাথে দ্রুত রিপ্লাই দিতে হবে ক্লায়েন্টের মেসেজের উত্তর দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রাখুন এবং সে সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন যখন একটি মেসেজ আসে তখন আপনি যদি ব্যস্ত থাকেন তাহলে একটি সক্রিয় উত্তর দিন এবং জানিয়ে দিন যে আপনি এখন উত্তর দিতে পারবেন। এটি ভালো উত্তর দিতে একজনের ক্লায়েন্টের মেসেজের জন্য ধন্যবাদ জানান। তারপর আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং আলোচনা জন্য কিছু প্রশ্ন করুন। অনেক সময় ক্লায়েন্ট একাধিক ফ্রিল্যান্সারদের মেসেজ করে। 

এরা যে আগে রিপ্লাই দেয় তার কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তাই আপনি আগে মেসেজের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। অযথা ব্যস্ততা দেখাবেন না। দ্রুত উত্তর দিলে ক্লায়েন্ট ভাববে আপনি দায়িত্বশীল এবং সময় মত কাজ করবেন এতে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে এবং কাজ সহজে পেয়ে যাবেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় প্লাটফর্মে লগইন করুন। এতে একটিভ দেখাবে মোবাইল ও ইমেইল নোটিফিকেশন চালু রাখুন। নতুন মেসেজ মিস করবেন না সময় কম থাকলে লিখুন ধন্যবাদ আপনাকে মেসেজের জন্য আমি বিস্তারিত দেখে দ্রুত জানাচ্ছি। এতে করে ক্লাইন্টের আপনার প্রতি বিশ্বস্ততা এবং ভদ্রতা মনে হবে আত্মবিশ্বাসী হবে এবং কাজ দেওয়ার জন্য আগ্রহ বাড়বে। 

কাজ শেষ করার পর ক্লাইন্টকে ফিডব্যাক দিতে অনুরোধ করুন

কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্টদের সাথে নম্র এবং স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ফিডব্যাক জানাতে অনুরোধ করবেন। আপনি বলতে পারেন আপনার মূল্যবান ফিডব্যাক আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুগ্রহ করে কাজটি পর্যালোচনা করে আমাকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের কাজ শেষে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভালো ফিডব্যাক নতুন ক্লায়েন্ট বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বেশি কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। 
ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-প্রফেশনাল-প্রোফাইল-সাজানো-নিয়ম
ক্লায়েন্টের ইতিবাচক ফিডব্যাক আপনার প্রোফাইলের জন্য সহায়ক হয় এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ পেতে সাহায্য করেে। কাজের মান উন্নত করে এবং ভবিষ্যতে আপনাকে আরো ভালো পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে। আপনার মতামত জানানোর অনুরোধ করছি এরকম করে আপনি ফিডব্যাক চাইতে পারেন। ফিডব্যাক চাওয়ার জন্য সব সময় বিনয়ী এবং পেশাদারী আচরণ করুন। এটি ভালো ফিডব্যাক আপনার ভবিষ্যতের কাজ পেতে সাহায্য করবে। ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক দিলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানাতে ভুলবেন না। 

নিজের ভাষা এবং ব্যবহার ঠিক রাখুন যাতে ক্লায়েন্ট সহজে বুঝতে পারে

ক্লাইন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য বা যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভাষা স্পষ্ট এবং আচরণবিধি ভালো করা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য সহজ এবং স্পষ্ট ভাষায় ব্যবহার করুন। প্রযুক্তিগত শব্দ এড়িয়ে চলুন এবং ক্লায়েন্ট এর চাহিদা মত মনোপযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্ট যে ভাষায় কথা বলবে সে ভাষায় বা সহজলভ্য ভাষা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ভাষা ও ব্যবহার ভালো হলে তা সাফল্য তার মূল চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয়। ক্লায়েন্ট যদি সহজে বুঝতে না পারে। 

তাহলে ভাল কাজ করেও কোন সন্তোষজনক ফিডব্যাক পাবেন না। জটিল শব্দ ব্যবহার করলে বিভ্রান্ত বোধ হতে পারে এতে করে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ নাও দিতে পারে। ভদ্র ভাষা ব্যবহার করলে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি আস্থা রাখতে পারে এবং কাজে দেওয়ার আগ্রহ বাড়াতে পারে। সহজ এবং পরিষ্কার ভাষায় কথা বলুন ভদ্র ব্যবহার করলে ক্লায়েন্ট আবার কাজ দিতে আগ্রহী হবে। সহজ ভাষা ও ভদ্র ব্যবহার স্পষ্ট উত্তর ক্লায়েন্টের আস্তা বেশি কাজ পাওয়ার সুযোগ করে থাকে। 

ক্লাইন্টের জন্য ছোট ছোট টিপস শেয়ার করতে পারেন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি যত ক্লায়েন্টের সাথে ফ্রি হবেন তত কাজ করা সম্ভবনা থাকে। শুধু কাজ করা নয় মাঝেমাঝে ক্লায়েন্টের কে ছোট ছোট হেলপ টিপস শেয়ার করুন। তারা আপনাকে ভিন্ন চোখে দেখবে এতে করে আপনি খুব সার্ভিসিং প্রোভাইডার না বরং তাদের বিশ্বাসযোগ্য পার্টনার হয়ে উঠবেন। এতে করে ক্লায়েন্টা ভাববে তারা বুঝবে আপনি তাদের ব্যবসা বা প্রজেক্ট নিয়ে সত্যিই চিন্তা করছেন। ভবিষ্যতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে ক্লায়েন্টের ভাববে এই ফ্রিল্যান্সার জানে তাই আবারও কাজ দিতে পারে। 
শুধু কাজেই শেষ নয় অতিরিক্ত ভ্যালু দিলেও ক্লায়েন্ট সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন পোস্ট করার আগে সাইজ ঠিক রাখতে আর এখন তাতে কোয়ালিটি নষ্ট হবে না। কাজ শেষ করার পর ম্যাসেজে এক থেকে দুই লাইন টিপস দিন প্রজেক্টরের সাথে সম্পর্কিত ছোট সাজেশন লিখুন। ভদ্রভাবে লিখুন যেন মনে হয় না আপনি বাড়তি শর্ত দিয়েছেন। এভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে ছোট ছোট টিপস শেয়ার করতে পারবেন। 

নিয়মিত মার্কেটপ্লেসে একটিভ থাকুন

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসা নিয়মিত একটিভ থাকা খুব জরুরী কেননা ফাইবার আপ ওয়ার্ক এর মত মার্কেটপ্লেসে যারা বেশি সময় অনলাইনে থাকে তাদের প্রোফাইল সার্চ রেজাল্ট উপরে আসে। ক্লায়েন্ট দেখবে আপনি অনলাইনে আছেন কিনা তাই অনলাইনে থাকলে মেসেজ করা সম্ভাবনা বাড়ে। অনেক ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে কম সময় থাকে। আপনি নিয়মিত থাকলে কাজের সুযোগ বেশি পাবেন। অনলাইনে থাকার সাথে সাথে উত্তর দিতে পারবেন। যা ক্লায়েন্ট এর কাছে ভালো ইম্প্রেশন তৈরি হবে।
ফ্রিল্যান্সারদের-জন্য-প্রফেশনাল-প্রোফাইল-সাজানো-নিয়ম
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মার্কেটপ্লেস লগইন করুন কাজ না থাকলেও প্রোফাইল চেক করুন। মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করুন যেকোন সময় অনলাইন থাকতে পারেন। অলস সময় নতুন স্কিল শিখে প্রোফাইল যুক্ত করুন ক্লায়েন্টের পুরনো মেসেজ বা প্রপোজাল রিভিউ করুন। দিনে অন্তত তিন চার ঘন্টা মার্কেটপ্লেসে একটিভ থাকার চেষ্টা করুন এতে করে আপনি সহজেই কাজ পাবেন। 

মন্তব্যঃ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রফেশনাল প্রোফাইল সাজানো নিয়ম ফিন্যান্সিং ক্যারিয়ারের সফল হতে হলে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী কারণ প্রফেশনাল প্রোফাইল হল আপনার প্রথম পরিচয় আকর্ষণীয় টাইটেল পরিস্কার প্রোফাইল ছবি দক্ষতা অভিজ্ঞতা সুন্দর উপস্থাপন আপনাকে কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে দিতে পারে। 

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানিয়েছি প্রফেশনাল প্রোফাইল কিভাবে সাজানো যায় তার নিয়ম এবং কিভাবে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবেন সে সম্পর্কে। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url