নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে যে ১০টি বিষয় দেখা জরুরী

 চুল পড়া বন্ধ করার ১২টি কার্যকরী উপায়নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা জানা জরুরী। কেননা এই বিষয় গুলো যদি আপনি জানেন তাহলে আপনার পক্ষে ভালো মানের ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হবে। তাই এই বিষয় গুলো জেনে নিন।

পুরাতন -ল্যাপটপ- কেনার -আগে -করণীয়

আপনি যদি নতুন ল্যাপটপ কেনার চিন্তা ভাবনায় থাকেন তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। এই বিষয় গুলো যদি ভালো ভাবে জানেন, তাহলে দেখে শুনে আপনি একটি ভালো ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন। তাই চলুন জেনে নিই নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র : নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী

আপনি যদি ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ভালো মানের একটা ল্যাপটপ নেওয়ার জন্যে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানা আবশ্যক। আর তাই আপনি যদি নতুন কোনো ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাব তাহলে নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন।

১. সি পি ইউ বা প্রসেসর
আপনার ল্যাপটপ কেমন পারফরম্যান্স দেখাবে তা নির্ভর করে থাকে প্রসেসর এর উপরে। তাই আপনার ল্যাপটপের প্রসেসর যদি ভালো মানের হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই আপনার জন্যে ভালো হবে। কেননা আপনি ভালো প্রসেসর এর ল্যাপটপ পেলে তা স্মোথলি ব্যবহার করতে পারবেন। প্রসেসর এর ধারণা নিম্নে দেওয়া হলো :

ইন্টেল কোর i3, i4, i5, i7 ইত্যাদি ল্যাপটপ গুলো সাধারণ কাজ গুলো করার জন্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। i5 ব্যবহার করা হয়ে থাকে মাল্টি- টাস্কিং ও গেমিং এর জন্যে। i7 ও i9 ব্যবহার করা হয়ে থাকে উচ্চ মাত্রার যে কাজ গুলো রয়েছে তার জন্যে। আর তাই আপনি আপনার ব্যবহার করা ল্যাপটপ কে কেমন কাজে ব্যবহার করতে চান তার উপর নির্ভর করে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন।

ইন্টেল এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এ এম ডি। এই গুলো হলো Ryzen 3, Ryzen 5, Ryzen 7, Ryzen 9 ইত্যাদি মডেলের প্রসেসর গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন ইন্টেল এর বিকল্প হিসেবে। এই গুলোও বেশ শক্তিশালী পারফরম্যান্স করে থাকে। আর তাই আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করার আগে কি কাজের জন্যে এটি ক্রয় করছেন তা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে সেটি কে সিলেকশন করে নিন। আর পরে সে অনুযায়ী প্রসেসর যুক্ত একটি ল্যাপটপ নিয়ে নিন।

২. RAM
আপনার ল্যাপটপ ভালো মানের কাজ করতে পারবেন যদি এর র‍্যাম বেশী হয়ে থাকে। আর তাই ভালো মানের কাজ যদি আপনি করতে চান তাহলে ভালো মানের র‍্যামের ল্যাপটপ কিনুন। 4 GB র‍্যামের ল্যাপটপ গুলো সাধারণ কাজ গুলো করার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর 8 GB র‍্যামের ল্যাপটপ গুলো আপনি প্রোগ্রামিং, গেমিং কিংবা মাল্টিটাস্কিং এর জন্যে ব্যবহার করতে পারেন। আবার 16 GB বা তার থেকেও বেশী যদি র‍্যাম হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই ল্যাপটপ ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ও হেভি গেমিং করার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন।

৩. কোন কাজে ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করা
আসলে প্রথমেই আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে আপনি ল্যাপটপটি কোন কাজের জন্যে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। আপনার ব্যবহার করা ক্ষেত্রের উপর কোন ল্যাপটপটি ভালো হবে তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
কোন -জেনারেশনের -ল্যাপটপ -ভালো
তাই আপনি কোন ধরণের কাজ করবেন যেমন সাধারণ কাজ, গেমিং, প্রোগ্রামিং নাকি গ্রাফিক্স ডিজাইন তা সিলেক্ট করে নিন। বেসিক কাজ গুলোর জন্যে আপনি 4 GB RAM এবং 256 GB Storage এর ল্যাপটপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। প্রোগ্রামিং, মাল্টি টাস্কিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ গুলো করার জন্যে শক্তিশালী প্রসেসর, উচ্চ মানের গ্রাফিক্স কার্ড ও বেশী র‍্যামের এসএসডি যুক্ত ল্যাপটপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

৪. গ্রাফিক্স কার্ড বা জি পি ইউ
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং, গেমিং কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্যে ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড দরকার পরবে। যদি ল্যাপটপ দিয়ে সাধারণ কাজ গুলো করতো চান তাহলে আপনার ইন্টিগ্রেটেড জি পি ইউ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি হেভি গ্রাফিক্স কাজ কিংবা গেমিংয়ের জন্যে কাজ করতে চান তাহলে তার জন্যে ডেডিকেটেড জি পি ইউ এর প্রয়োজন পড়বে।

৫. ব্যাটারি লাইফ
আপনি যদি ল্যাপটপ নিয়ে বাইরে কাজ করতে চান তাহলে আপনার ভালো মানের ব্যাটারি যুক্ত ল্যাপটপ এর প্রয়োজন পড়বে। তাই ভালো পরিমাণ ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়ার জন্যে আপনাকে সে অনুযায়ী ল্যাপটপ নিতে হবে। আর যদি আপনি বাসায় বসেই কাজ করেন তাহলে আপনার ব্যাটারি ব্যাকআপ কম হলেও চলবে। তাই সে অনুযায়ী আপনি ল্যাপটপ নিতে পারেন।

৬. ডিসপ্লে সাইজ ও রেজুলেশন
আপনার পছন্দ অনুযায়ী ও কাজের ধরণ অনুযায়ী ডিসপ্লে সাইজ ও রেজুলেশন বেছে নিতে পারেন। এই গুলো আপনার অভিজ্ঞতা কে প্রভাবিত করে। আপনি যদি ১৩ থেকে ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে সাইজ নেন তাহলে তা ভালো পোর্টেবিলিটি ও ভিউজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেয়। আবার আপনি যদি ১৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে নেন তাহলে সেটা অনেক বড় ও ভারী হবে। আবার এখানে বড় ডিসপ্লেরও সুবিধা পাবেন।

৭. পোর্ট ও কানেক্টিভিটি
আপনার যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ী ল্যাপটপে পোর্ট ও কানেক্টিভিটি অপশন থাকা প্রয়োজন। যেমন USB Type C, USB 3.0 পোর্ট, মেমরি কার্ড রিডার, অডিও জ্যাক ও ইথারনেট পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট ইত্যাদি বিষয় গুলো দেখে নিবেন।

৮. ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি
আপনি যদি ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড HP, Dell, Lenovo, ASUS, Acer থেকে ল্যাপটপ কেনা ভালো। এর কারন হলো এদের ওয়ারেন্টি সেবা ও বিক্রয়োত্তর সুবিধা গুলো ভালো হয়।

৯. অপারেটিং সিস্টেম
ল্যাপটপে কেনার সময় অপারেটিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
OS এর মধ্যে রয়েছে Windows, macOS, chrome OS ইত্যাদি গুলো বেছে নিতে পারেন। এই সকল বিষয় গুলো মাথায় রেখে আপনি ল্যাপটপ কিনতে পারেন।

১০. কীবোর্ড ও টাচ প্যাড
আপনি যদি অনেক টাইপ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্যে কী বোর্ড ও টাচ প্যাড বেশ আরামদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। আবার অন্ধকারেও যদি সুবিধা মতো টাইপ করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাক লিট কীবোর্ড সাহায্য করতে পারে।

কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ ভালো

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা সম্পর্কে জেনেছেন। ল্যাপটপের জেনারেশন বলতে সাধারণত প্রসেসরের জেনারেশন কে বুঝানো হয়ে থাকে। এটি দ্বারা বুঝানো হয়ে থাকে ঐ ল্যাপটপ কতটা আপডেটেড ও উন্নত। তাই বেশী জেনারেশনের ল্যাপটপ যদি কিনে থাকেন তাহলে আপনার ল্যাপটপ অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। ১২ বা ১৩ তম জেনারেশন এর ল্যাপটপ গুলো যদি নেন তাহলে এটি দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। তাই ল্যাপটপ নেওয়ার জন্যে আপডেট জেনারেশন এর গুলো সিলেকশন করে নিন।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

আপনি যদি পুরোনো ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটা বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যখন আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাবেন তখন আপনি ওয়ারেন্টি পলিসি বা সার্ভিস পলিসি সম্পর্কে জেনে নিবেন। পুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে আপনি ওয়ারেন্টি পলিসি সম্পর্কে জেনে নিবেন। এই বিষয় গুলো জানা থাকলে আপনার পক্ষে ল্যাপটপ ব্যবহার করা সুবিধা জনক হবে। ল্যাপটপটির বডির অবস্থা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। ডিসপ্লের কি অবস্থা, কোথাও ফেটে গিয়েছে কি না, দাগ পড়েছে কি না এই বিষয় গুলো দেখে নিন।

ল্যাপটপটি কবে মার্কেটে এসেছে এই বিষয় গুলো পর্যবেক্ষণ করুন। এটি কবে মার্কেটে লঞ্চ হয়েছে তা জানার জন্যে এর ভিতরেই দেখতে পারেন। ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। এটিও আপনি নিজেই চেক করে নিতে পারবেন। যদি ল্যাপটপটি টাচ স্কিন হয়ে থাকে তাহলে এটিও চেক করে নিতে পারেন। এর জন্যে উইন্ডোজ এর বার অপশন থেকে পেইন্ট অপশন চালু করে আকাআকি বা লেখালেখির কাজ গুলো করতে পারেন। এই ভাবে আপনি ল্যাপটপের টাচ স্কিন ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক কন্ডিশন সম্পর্কেও আপনি জানতে পারেন। ল্যাপটপে HDD বা SSD ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা চেক আপ করে নিতে পারেন। হার্ডডিস্কের হেলথ কন্ডিশন সম্পর্কেও জানতে পারেন। কিবোর্ডের কন্ডিশন জেনে নিন। ওয়েব ক্যাম টেস্ট ও স্পিকার কন্ডিশন কেমন তা সম্পর্কেও জেনে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে কোন ল্যাপটপ ভালো

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা জেনেছেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কেমন কাজ করবেন তার উপর আসলে আপনার ল্যাপটপের বিষয়টি নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, 3D মডেলিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ গুলো করতে চান তাহলে উচ্চ ক্ষমতার ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়ে। এই কাজ গুলোর জন্যে ভালো মানের জিপিইউ থাকা প্রয়োজন।

আবার যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিংবা প্রোগ্রামিং করে থাকেন তাহলে তারা মাঝারি আকারের ল্যাপটপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আবার আপনি যদি সাধারণ কাজ গুলো করতে চান, একদম বেসিক কাজ তাহলে তার জন্যে সাধারণ ল্যাপটপ গুলো হলেই প্রয়োজন পড়বে। বেসিক কাজ গুলো যেমন ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো করে থাকেন তাদের জন্যে সাধারণ ল্যাপটপ গুলোর প্রয়োজন পড়বে।

গেমিং এর জন্যে কোন ল্যাপটপ ভালো

আপনি যদি গেমিং এর জন্যে ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই গুলোর মধ্যে হলো ল্যাপটপের প্রসেসর। আপনি যদি গেমিং এর জন্যে ল্যাপটপ পছন্দ করে থাকেন তাহলে তার জন্যে প্রসেসর খুবই শক্তিশালী হতে হবে। ইন্টেল কোর i7 ও i9 প্রসেসরের ল্যাপটপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ডেরও প্রয়োজন পড়ে৷ এর জন্যে আপনি NVIDIA GeFroce RTX 30 সিরিজ বা AMD Radeon RX 6000 সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড সমৃদ্ধ গেমিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে।

আপনার গেমিং ল্যাপটপের জন্যে কমপক্ষে ১৬ জিবি র‍্যাম ও এসএসডি স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন। উচ্চ রেজুলেশন ও উচ্চ রিফ্রেশ রেট এর ডিসপ্লে গেমিংয়ে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।
তা ছাড়া গেমিং ল্যাপটপ কুলিং সিস্টেম এর বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এতে হার্ডওয়্যার গরম হয়ে গেলে তা ঠান্ডা করায় ভুৃমিকা রাখে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্যে কোন ল্যাপটপ ভালো

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলে এর জন জন্যে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। আপনি যদি 2D গ্রাফিক্সে কাজ করেন তাহলে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে গিগাবাইটের মাদারবোর্ড নিন। 3D গ্রাফিক্সে কাজ করলে আরো বেশী দাম দিয়ে কিনুন। ৭ম জেনারেশনোর প্রসেসর নিতে পারেন। আর র‍্যাম ৮ থেকে ১৬ গিগাবাইটের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক টেরাবাইট এর হার্ড ডিস্ক নিতে পারেন। ২২ ইঞ্চি মনিটর নিলেই ভালো হয়। গ্রাফিক্স দামী, তাই আপনি যদি 3D অ্যানিমেশন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি করতে চান তাহলে আলাদা ভাবে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে পারেন। অ্যাডোব CS6 Mercury ইঞ্জিনেরটা ব্যবহার করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং এর জন্যে কোন ল্যাপটপ ভালো

আপনি ভিডিও এডিটিং করার জন্যে i9 বা rhyzene9 এর প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন। এডিটিং এর জন্যে RAM বেশী ভালো হয়। 16 GB দিয়ে কাজ করতে পারবেন তবে 32 GB হলে কাজ স্মোথলি হবে। স্টোরেজ এর ক্ষেত্রে SSD বিল্ডসহ একটি পিসি কিনুন। ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড এডিটিং দক্ষতা কে বাড়িয়ে তোলে। এএমডি রেডন আরএক্স সিরিজের মডেল গুলো বেশ ভালো। উচ্চ মানের ডিসপ্লে হিসেবে 4K রেজুলেশনের মনিটর রাখুন। USB 3.0 পোর্ট ডেটা স্থানান্তর দ্রুত করে থাকে। মাইক্রোসফট সারফেস স্টুডিও ২ ব্যবহার করবেন। আবার অ্যাপলের ম্যাক স্টুডিও রয়েছে।

প্রোগ্রামিং এর জন্যে কোন ল্যাপটপ ভালো

প্রোগ্রামিং কাজের জন্যে আপনি ইন্টেল বা এএমডি রাইজেন এর প্রসেসর গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কোর আই ৭ বা রাইজেন ৭ নিবেন। র‍্যাম ১৬ জিবি ও লেটেস্ট জেনারেশন এর হলেই চলবে৷ লেটেস্ট জেনারেশন এর প্রসেসর ব্যবহার করতে হবে। স্টোরেজ ১২৮ জিবি এসএসডি থাকলেই হবে। এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে ডিসপ্লে আপনার পছন্দ অনুভব নিতে পারে।

ফিচার দেখে কিভাবে ল্যাপটপ ক্রয় করবেন

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা জেনেছেন। আপনি যখন একটি ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাবেন তার কিছু বিষয় গুলো আপনাকে ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে। এই বিষয় নিয়ে প্রথম প্যারাতেই আলোচনা করা হয়েছে।
পুরাতন -ল্যাপটপ- কেনার -আগে -করণীয়
তাই এই সকল বিষয় গুলো ভালো ভাবে দেখে নিন। এই গুলো ভালো ভাবে দেখে নিলে আপনি আপনার কাজ অনুযায়ী ভালো মানের একটি ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন। তাই যদি ঠকতে না চান তাহলে এই বিষয় গুলো দেখে নিন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরী তা সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়ে সকল কিছু জানতে পেরেছেন। কোনো মন্তব্য থাকলে তা জানাতে পারেন। পাশাপাশি এটি নিজের বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url