ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের ৫টি লক্ষণ
জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকারডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিৎ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই জ্বরের ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় গুলো জেনে নিন
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে রাখুন
- মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
- স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
- মশা নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
- স্থানীয় ও জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
- মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারির গুরুত্ব
- ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন
- জলবদ্ধ স্থান পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
- আমাদের শেষ কথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় গুলো জেনে নিন
ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ মশাবাহিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এই রোগ প্রতিরোধে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। সেজন্য আপনাদেরকে মশার প্রজনন স্থল দূর করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাড়ির আশেপাশের ছাদে বা উঠানে জমে থাকা পানি মশার প্রজনন স্থল হতে পারে তাই পাত্র, টবে বা অন্যান্য জায়গায় পানি জমে যেন না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যবহৃত টায়ার বা পুরানো পাত্রে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে বা ঢেকে রাখতে হবে। এছাড়াও যেখানে পানি জমে থাকে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মশার ঘনত্ব বেশি থাকলে ইনসেক্টিসাইড স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এটি মশার উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ
এছাড়াও ঘরে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে রাতে যখন এডিস মশা সক্রিয় থাকে। বাড়ির আশেপাশে ও ঘরের ভেতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন যেন মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে। সেজন্য নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার করুন এবং আবর্জনার স্তুপ না রাখতে চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় লম্বা হাতা, লম্বা প্যান্ট পড়ে যেতে হবে যেন মশার কামড় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়।
ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণ যেমন তীব্র মাথাব্যথা, শরীরের ব্যথা, জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্থানীয় প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে এলাকায় মশার প্রজনন স্থল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্রচার বা গণবিজ্ঞাপন চালিয়ে যান। সেজন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত যেনো আমরা এটি সম্পর্কে সঠিক প্রচারণার চালাতে পারি।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে রাখুন
ডেঙ্গু জ্বর এর লক্ষণ গুলো জেনে রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় গুলো জেনে রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর এর লক্ষণ সাধারণত শুরু থেকে দ্রুত প্রকাশ পায় এবং কিছুটা দ্রুত হতে পারে। তাই যেকোন সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এই সময় তীব্র জ্বর থাকতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের শুরুতেই তীব্র জ্বর অনুভূত হয়। এই জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হতে পারে এবং এটি হঠাৎ করেই উঠে যায়।
শরীরের বিভিন্ন জায়গা তীব্র ব্যথা হতে পারে যেমন মাংসতে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ব্যথা, পিঠে এবং ঘাড়ের ব্যথা। মাথাব্যথা অনেক সময় খুব তীব্র হয় এবং চোখের পেছনে চাপ অনুভূত হতে পারে যা সাধারণত ডেঙ্গুর বিশেষ লক্ষণ। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীদের চামড়ায় লালচে দাগ দেখা যায়। এটি শুরুতে গায়ের উপর ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো হয় পরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরের ফলে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে কখনো কখনো প্রচন্ড বমি হতে পারে যা শরীরের ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রক্তপাত হতে পারে সেক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া এ সমস্যাগুলো হতে পারে।
আবার তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। পেটের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা হতে পারে যা কখনো কখনো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ গুলোর মধ্যে কোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ চিকিৎসার অভাবে এই রোগটি খুব দ্রুত মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করা। কারণ এই রোগের মূল বাহন হলো এডিস মশা। এডিস মশা তাদের জীবনের অধিকাংশ সময় থাকে পানি জমে থাকা স্থানে এবং এই পানিতেই তারা ডিম পাড়ে ও বংশবৃদ্ধি করে। তাই যদি আমরা মশার বংশ বৃদ্ধির স্থানগুলো পরিষ্কার ও বন্ধ করে দিতে পারি তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। সেজন্য বাড়ির আশেপাশে বা ছাদে কোথাও যদি পানি জমে থাকে সেখানে মশা ডিম পাড়ে তাই এসব জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবেনা।
সেসব স্থানে নিয়মিত পানি বদলাতে হবে বা পাত্র গুলো উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি জমতে না পারে। এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা মশার বৃদ্ধি ঠেকায়। এসব ব্যাকটেরিয়া পুকুর বা জলাশয়ে ছড়িয়ে দিলে মশার লার্ভা মারা যাবে। ঘরে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন বিশেষ করে রাতে যখন এডিস মশা সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। ঘরের ভেতর বা বাইরে মশা কমাতে তেল বা অন্যান্য মশা তাড়ানোর উপকরণ ব্যবহার করুন।
মশা সাধারণত পরিষ্কার শীতল পানির মধ্যে বেশি বংশবৃদ্ধি করে তাই ঘরের আশেপাশে সেসব জায়গা পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ সম্ভব এবং এর মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
স্বাস্থ্য সচেতনতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সচেতনতা বাড়ালে মানুষ মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করতে পারে এবং সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তাই মশার প্রজনন স্থল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করা এবং সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে সচেতন করতে হবে সকলকে। এছাড়াও ঘরের ভিতর ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
মশা থেকে রক্ষা পেতে মশা প্রতিরোধে ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ডেঙ্গু সাধারণ লক্ষণ গুলো সকলকে জানাতে হবে এবং সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশার প্রজনন স্থল কম থাকে বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা জমা না করতে এবং বর্জ্য খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে হবে।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা বা সহকারী প্রতিষ্ঠান সচেতনতা ক্যাম্প সেমিনার প্রচার চালিয়ে জনগণকে মশার প্রজনন স্থল সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে লক্ষণগুলো যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে পারে যেমন সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন সংবাদপত্র টেলিভিশন রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণকে মশার প্রজনন স্থল পরিষ্কার রাখার উপায় জানাতে পারে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা ডেঙ্গু প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যত বেশি সচেতনতা বানানো হবে ততই মশার প্রজনন স্থল কমানো যাবে এবং টেন্ডার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের রোগের পা দুর্ভাগ কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।
মশা নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
মশা নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক এডিট মশা যা পানিতে ডিম পাড়ে মশা নিধন কার্যকানের মাধ্যমে এই মশার সংখ্যা কমানো সম্ভব যার দীর্ঘ প্রতিরোধ করা যায়। সেজন্য প্রথমে আমাদেরকে মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। পানি জমে থাকা জায়গা পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও ঝিল ডোবা পরিষ্কার করতে হবে এবং জলাশয় পানি চলাচল নিশ্চিত করতে হবে অথবা পানি শুকিয়ে দিন।
মশা এবং মশার লার্ভা মেরে ফেলতে ইনসেক্টিসাইট স্প্রে বা ফগিং ব্যবহার করতে হবে। ঘরে মশারি ব্যবহার করতে হবে অথবা মশারি তাড়ানোর স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং লম্বা পোশাক পড়ুন। এছাড়া মশার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্প সেমিনার বাফায়ার বিতরণ করুন। এভাবে নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম চালিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব।
স্থানীয় ও জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
স্থানীয় ও জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে টিংকু প্রতিরোধ কার্যকরীভাবে বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় আন্দোলন করা সম্ভব হবে। মশার প্রজনন স্থল কমানোর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে দিনগুলো মোকাবেলা করা যায়। নিম্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে কিছু কার্যকরী উদ্যোগের আলোচনা করা হলো:
- স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে দেখবো প্রতিরোধ: স্থানীয় সরকার বা সমাজের সদস্যরা মিলে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে পারে। জমে থাকা পানি শুকিয়ে ফেলা ফুলের টপ পাত্র বা পুরনো টায়ার পরিষ্কার করার মাধ্যমে মশার প্রজনন স্থল কমানো সম্ভব। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত ফকিং বা ইনসেক্টিভ সাইট স্প্রে ব্যবহার করতে পারে এতে মশার সংখ্যা কমানো যায়। এছাড়াও স্কুল মসজিদ ক্লাব ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতনতামূলক সেমিনার বিতরণ করা যেতে পারে যাতে জনগণ মশা প্রজনন স্থল চিহ্নিত করে পরিষ্কার রাখতে সচেষ্ট হয়। আবার স্থানীয় সমাজে মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করে সাপ্তাহিক মাসিক পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে এতে এলাকায় জমে থাকা পানি দ্রুত খালাস হয়ে যাবে। হেল্পলাইন বা জরুরী চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থাপন করা যাতে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা থেকে দূরত্ব চিকিৎসা পাওয়া যায় মহল ক্লিনিক বাসস্থান কেন্দ্রীয় সহজে সেবা দেওয়া সম্ভব।
- জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা উচিত যার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন সচেতন করা এবং নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হয়। জাতীয় পর্যায়ে ফকিং এবং ইনসেক্টিসাইট স্প্রে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে এতে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন জেলার মশার সংখ্যক কমে যাবে। জাতীয় উদ্যোগে স্থানীয় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কার্যক্রমের প্রভাব পড়ে। ডেঙ্গুর লক্ষণ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গুলোতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও শিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার সাহায্য গ্রহণ করে ডেঙ্গুর প্রতিনিধিত্বের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী যেখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারির গুরুত্ব
মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারী একটা অত্যন্ত কার্যকর এবং সহজলভ্য উপায়। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের প্রধান বাহক হচ্ছে এডিস মশা ও অন্যান্য মশা। তাই মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত থাকতে মশারির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মশারি মশার কামড় থেকে সুরক্ষা প্রদান করে যার ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া চিকুনগুনিয়া সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক হয়ে থাকে।
মশা সাধারণত রাতে বেশি সক্রিয় হয় এবং তখন তাদের কামরে রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে মশারি রাতের ঘুমের সময় মশাদের ঢোকা প্রতিরোধ করে ফলে নিরাপদে ঘুমানো যায়। মশারি ব্যবহার করলে বা মশার স্প্রে বা অন্যান্য মশার নির্গত ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমে যায় ফলে মশারির সাহায্যে রাসায়নিক পদার্থ বা অন্যান্য ইনসেকটিসাইডের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের ক্ষতিও রোধ করা যায়। তাই এ মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি টাঙ্গানোর গুরুত্ব বেশি।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সকলের জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাস জনিত রোগ যা সাধারণত এডিস মশা দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই রোগের লক্ষণ সাধারণত চার থেকে সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি হালকা থেকে জ্বর হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু শখ সিনড্রোম বা ডেঙ্গু হয়ে মরে যে ফিভারে পরিণত হয় যা জীবন নাশ এর কারণ হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের কোন নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাস চিকিৎসা নেই।

জলবদ্ধ স্থান পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ
এডিস মশার সাধারণত জলবদ্ধ স্থানে বংশ বৃদ্ধি করে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো বাসা ও আশেপাশের এলাকায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখার কারণ এই পানি মশার প্রজনন স্থান। সেজন্য পরিত্যক্ত বস্তু যেখানে পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও ফুলের টব, পাত্র, বালতি ইত্যাদির পানি নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
আবার বৃষ্টি পড়ে জল জমে থাকা জায়গা যেমন ছাদ, নালা বাগান ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। এভাবে জলবদ্ধ স্থান পরিষ্কার রেখে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বন্ধ করে ডেঙ্গুর বিস্তার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যেতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় ও জাতীয় উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এডিস মশা মূলত জলভূমি, বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানির মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে। তবে স্থানীয় ও জাতীয় সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url