কফি মেশিন দাম কত - ওয়ালটন ও মিয়াকো কফি মেশিনের দাম 2025

কফি মেশিনের দাম কত টাকা অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং বিভিন্ন কোয়ালিটির কফি মেশিনের দাম। কফি মেশিন কেনার আগে অবশ্যই আপনাদেরকে এগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
কফি মেশিন দাম কত
কফি মেশিনের দাম কত, তা জানার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন কোম্পানির কফি মেশিনের দাম, এর সুবিধা এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। তাহলে চলুন, আর দেরি না করে কফি মেশিন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

কফি মেশিন দাম কত ২০২৫

অনেকেই তাদের ব্যবসার জন্য কফি মেশিন কেনার কথা ভেবে থাকেন আবার অনেকে বাসায় কফি তৈরি করার জন্য কফি মেশিন কিনতে চান কিন্তু কফি মেশিন এর দাম কত টাকা তা অনেকে জানেন না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং বিভিন্ন কোয়ালিটি কফি তৈরি করা মেশিন পাওয়া যায় সেগুলোর দাম নিচে দেওয়া হলো:
  • Vision WF1 202A Coffee Machine 25,000 Taka
  • Inissia Nespresso Coffee Machine 28,000 Taka
  • Vision MC WF1-202A Coffee Machine 27,500 Taka
  • Suja Global 20L Coffee Machine 26,500 Taka
  • Maxbrown Auto Coffee Maker 26,000 Taka
  • Essenza Mini Coffee Machine 32,000 Taka
  • Miyako Fast Espresso Coffee Maker 8,000 Taka
  • Ocean 1.5-Liter Coffee Maker 3,600 Taka
  • Miyako 2L Coffee Maker 2,800 Taka
  • Philips Coffee Maker 6,200 Taka
  • Russell Hobbs Coffee Maker 10,500 Taka
  • De’Longhi Dinamica Coffee Maker 175,000 Taka
এই কফি মেশিন গুলো আপনারা আপনাদের নিকটস্থ শোরুমে পেয়ে যাবেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমেও সংগ্রহ করতে পারবেন তবে যেখান থেকে সংগ্রহ করেন না কেন অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপরে নিবেন।

ওয়ালটন কফি মেশিন প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ওয়ালটন একটি স্বনামধন্য বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হওয়ায় তাদের কফি মেশিনগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। সাধারণত, ওয়ালটন বাজারে বিভিন্ন ধরনের কফি মেকার নিয়ে আসে, যার মধ্যে ড্রিপ কফি মেকারগুলো বেশি জনপ্রিয়। এই মেশিনগুলো সাধারণত সহজ ব্যবহারযোগ্য এবং কম সময়ে বেশ কয়েক কাপ কফি তৈরি করতে পারে।

বাংলাদেশে ওয়ালটন কফি মেশিন এর দাম সর্বনিম্ন ২৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলো কফি মেশিন দিয়ে খুব সহজেই এবং সুন্দরভাবে কফি তৈরি করতে পারবেন।

আর যদি শুধুমাত্র বাসায় ব্যবহার করার জন্য ওয়ালটনের কফি মেশিন নিতে জানতে হবে ছোটটা নেওয়া ভালো হবে। যেটাই নেন না কেন অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং দাম করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে, দোকানের অফার, মডেলের নতুনত্ব এবং পণ্যের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে। সবচেয়ে সঠিক দাম জানার জন্য, আপনি ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুম অথবা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

রয়েল কফি মেশিন প্রাইস ইন বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রয়েল কফি মেশিনের নির্দিষ্ট কোনো একক দাম বলা কঠিন, কারণ দাম নির্ভর করে মেশিনের মডেল, ক্ষমতা এবং বিক্রেতার ওপর। রয়্যাল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কফি মেশিন তৈরি করে, যেমন এস্প্রেসো মেশিন, ড্রিপ কফি মেকার, ইত্যাদি। সাধারণত, রয়েল কফি মেশিনের দামের একটি আনুমানিক ধারণা নিচে দেওয়া হলো:
ড্রিপ কফি মেকার: ছোট আকারের ড্রিপ কফি মেকারগুলোর দাম সাধারণত ৩,৫০০ থেকে ৭,০০০ টাকা-এর মধ্যে হয়ে থাকে। এই মেশিনগুলো সাধারণত সহজ ব্যবহারযোগ্য এবং কম সময়ে বেশ কয়েক কাপ কফি তৈরি করতে পারে।

এস্প্রেসো মেশিন: রয়েল ব্র্যান্ডের সেমি-অটোমেটিক বা ম্যানুয়াল এস্প্রেসো মেশিনগুলোর দাম সাধারণত ১২,০০০ থেকে শুরু করে ৩৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এই ধরনের মেশিনগুলো দিয়ে এস্প্রেসো, ল্যাটে এবং ক্যাপুচিনো তৈরি করা যায়।

তবে, দোকানের অফার, মডেলের নতুনত্ব এবং পণ্যের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে। সবচেয়ে সঠিক দাম জানার জন্য, আপনি বিভিন্ন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Daraz, অথবা স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে খোঁজ নিতে পারেন।

রয়েল কফি মেশিন ছোট থেকে বড় বিভিন্ন কোয়ালিটির পাওয়া যায় যেগুলোর দাম সর্বনিম্ন ১২০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ছোট মেশিনগুলোতে সাধারণত কাপের পরিমাণ কম থাকে আর বড় মেশিনগুলোতে একসাথে অনেকগুলো কাপ ব্যবহার করা যায়।

যেমন দুই লিটারের মেশিনগুলোতে ৪ থেকে ৮ কাপ মিনিটে ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়ে অন্যান্য কফি মেশিনের থেকে রয়েল কফি মেশিন অনেক ভালো। তবে, দোকানের অফার, মডেলের নতুনত্ব এবং পণ্যের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে। সঠিক দাম জানার জন্য, অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম অথবা স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে খোঁজ নিতে পারেন।

মিয়াকো কফি মেশিনের দাম কত

অনেকগুলো কোয়ালিটির মিয়াকো কফি মেশিন রয়েছে বর্তমানে অনেকেই মিয়াকো কফি মেশিন ব্যবহার করতে চান কিন্তু সঠিক দাম সম্পর্কে জানা নেই তাই এই অংশে আপনাদের জন্য বেশ কিছু মিয়াকো কফি মেশিনের নিচে দেওয়া হলো:
  • Miyako CM-327 2 Liter Coffee Maker 2,700 Taka
  • Miyako Fast Espresso Coffee Maker 8,000 Taka
  • Miyako CM-2036 Espresso Coffee Maker 9,900 Taka
  • Miyako CM-325 Coffee Maker 3,700 Taka
  • Miyako CM-2009 Coffee Maker 11,500 Taka
  • Miyako CM-2026 A Coffee Maker 8,900 Taka
  • Miyako CM-2010 A Coffee Maker 8,800 Taka
এগুলো দামের মধ্যে মিয়াকো কফি মেশিন পেয়ে যাবেন তবে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় দাম এর পার্থক্য থাকে আবার অনেক সময় দাম কম বেশি হয়ে থাকে সেজন্য যখন আপনি নিবেন তখন অবশ্যই আরো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবেন।

নেসক্যাফে কফি মেশিন প্রাইস ইন বাংলাদেশ

নেসক্যাফে কফি মেশিন বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। বর্তমানে নেসক্যাফে কফি মেশিন ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। বাংলাদেশি যেগুলো কফি মেশিন পাওয়া যায় সেগুলো থেকে নেসক্যাফে কফি মেশিন এর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

তবে দাম বেশিরভাগ গুণগত দিক দিয়ে অনেক ভালো তাই আপনারা যদি একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও নেসক্যাফে কফি মেশিন নেন তাহলে এটা অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

ভালো মানের কফি মেশিন কিভাবে বাছাই করবেন?

ভালো মানের কফি মেশিন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী সঠিক মেশিনটি বেছে নিতে এই দিকগুলো আপনাকে সাহায্য করবে।
১. আপনার কফির ধরন: আপনি যদি সাধারণ কালো কফি বা আমেরিকান কফি পছন্দ করেন, তাহলে একটি ড্রিপ কফি মেকার আপনার জন্য যথেষ্ট। এটি ব্যবহার করা সহজ এবং দামে সাশ্রয়ী। যদি আপনি এস্প্রেসো, ক্যাপুচিনো বা ল্যাটে-এর মতো কফি পছন্দ করেন, তাহলে একটি এস্প্রেসো মেশিন আপনার প্রয়োজন।

এই মেশিন গুলো সাধারণত একটু দামি হয় এবং কিছুটা জটিল হতে পারে। যদি দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত কফি চান, তাহলে পড কফি মেকার ভালো হবে। এতে আলাদা করে কফি ফিল্টার করতে হয় না।

২. ধারণক্ষমতা: কতজন মানুষের জন্য কফি তৈরি করবেন, তা বিবেচনা করুন। আপনি যদি একা বা দুজন মানুষের জন্য কফি তৈরি করতে চান, তাহলে ছোট আকারের মেশিনই যথেষ্ট। যদি পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয় বা অফিসে ব্যবহারের জন্য চান, তাহলে বড় ধারণক্ষমতার ড্রিপ কফি মেকার কেনা উচিত।

৩. মেশিনটি কী কী সুবিধা দেয়: মেশিনে কী কী অতিরিক্ত সুবিধা আছে, তা দেখুন। আপনি যদি তাজা কফির স্বাদ পছন্দ করেন, তাহলে এমন একটি মেশিন বেছে নিতে পারেন যেখানে কফি বিন গ্রাইন্ড করার ব্যবস্থা আছে।

আবার আপনি যদি চান যে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার কফি তৈরি হয়ে থাকুক, তাহলে টাইমার বা প্রোগ্রামিং ফিচারসহ মেশিন কিনতে পারেন। ক্যাপুচিনো বা ল্যাটে তৈরির জন্য মেশিনে দুধ ফেনা করার ব্যবস্থা আছে কিনা, তা দেখে নিন।

৪. পরিষ্কারের সহজতা: মেশিনটি পরিষ্কার করা সহজ কিনা, তা দেখে নিন। যে মেশিনের অংশগুলো সহজে খোলা এবং পরিষ্কার করা যায়, সেটি ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে কফির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

৫. বাজেট: আপনার বাজেট একটি বড় বিষয়। সাধারণ ড্রিপ কফি মেকার কম দামে পাওয়া যায়, কিন্তু ভালো মানের এস্প্রেসো মেশিন বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। তাই আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা মেশিনটি খুঁজে বের করুন।

এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ভালো মানের কফি মেশিন বেছে নিতে পারবেন।

কফি মেশিনের বৈশিষ্ট্য

কফি মেশিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকে, যা একটি মেশিনের মান এবং কার্যকারিতা নির্ধারণ করে। একজন ক্রেতা হিসেবে এই বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার জন্য সঠিক মেশিনটি বেছে নেওয়া সহজ হবে। ড্রিপ কফি মেকার সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী। যারা একবারে বেশি কফি তৈরি করতে চান, তাদের জন্য এটি ভালো। 

এস্প্রেসো মেশিন উচ্চ চাপে কফি তৈরি করে, যা দিয়ে এস্প্রেসো, ল্যাটে, বা ক্যাপুচিনোর মতো কফি বানানো যায়। এই মেশিনে কফি তৈরির জন্য পড বা ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এটি খুব দ্রুত কফি তৈরি করতে পারে এবং ঝামেলামুক্ত।

ম্যানুয়াল বা সেমি-অটোমেটিক মেশিনে কফি তৈরির জন্য আপনাকে কিছু কাজ নিজে করতে হবে, যেমন কফির গুঁড়ো বা পানি পরিমাপ করা। আর ফুল-অটোমেটিক মেশিনগুলো নিজে থেকেই সবকিছু করে। আপনাকে শুধু একটি বোতাম চাপতে হবে।

মেশিনের ধারণক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কিছু মেশিন একবারে ১-২ কাপ কফি বানাতে পারে, আবার কিছু মেশিনে ৬-১২ কাপ কফি তৈরি করা যায়। আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বা অফিসের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে ক্যাপাসিটি বেছে নেওয়া উচিত।

আধুনিক কফি মেশিনগুলোতে প্রোগ্রামিং ফিচার থাকে। এর সাহায্যে আপনি কফি তৈরির জন্য সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি রাতে সেট করে রাখলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই আপনার কফি তৈরি হয়ে যাবে।

কফির স্বাদ এবং গন্ধের জন্য তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু উন্নতমানের কফি মেশিনে পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা থাকে, যা আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কফি তৈরি করতে সাহায্য করে। মেশিন কেনার আগে দেখে নেওয়া উচিত যে এর অংশগুলো সহজে খোলা যায় কি না এবং তা পরিষ্কার করা কতটা সহজ।

কফি মেশিন চালানোর নিয়ম

অনেকেই কফি মেশিন কেনার পরে সেটা কিভাবে চালাতে হয় তা জানেন না। কফি মেশিন চালানোর বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মে চালিয়ে কফি তৈরি করতে পারবেন। তো কফি মেশিন চালানোর নিয়ম কি জেনে নিন।
  • নতুন কফি মেশিন কেনার পরে সেটা ভালোভাবে খুলে নিতে হবে।
  • দুই থেকে তিনটা বক্স থাকে সেগুলো ভিতরে ভালোভাবে সেট করে দিতে হবে।
  • ভিতরে থাকা বক্সের মধ্যে কফি গুঁড়ো ভালোভাবে দিয়ে দিতে হবে।
  • উপরের অংশে পানি রাখার জারে পানি ভর্তি করে সঠিকভাবে সেট করে দিতে হবে।
  • কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুতিক লাইন দিতে হবে এবং কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
  • এবার কফি তৈরি করার জন্য মেশিনটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
  • কফি মেশিনের উপর বাটন রয়েছে সেগুলো বাটনে চেপে কফির কাপে কফি ঢেলে নেওয়া যাবে।
এভাবেই খুব সহজে কফি মেশিন চালাতে পারবেন। তবে এটা যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস সেজন্য প্রতিনিয়ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা ব্যবসার জন্য ব্যবহার করেন তারা প্রতিদিন পরিষ্কার করবেন আর যারা বাসা বাড়িতে ব্যবহার করেন তারা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করবেন।

কফি মেশিনের সুবিধা

কফি মেশিনের অনেক সুবিধা আছে, যা কফি প্রেমীদের জন্য জীবনকে অনেক সহজ করে তোলে। চলুন, এর কিছু প্রধান সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:

১. সময় বাঁচায়

সকালে বা কাজের ব্যস্ততার মাঝে হাতে কফি বানানো বেশ সময়সাপেক্ষ। কফি মেশিন থাকলে আপনি খুব দ্রুত কফি তৈরি করতে পারবেন। আপনাকে শুধু পানি ও কফির গুঁড়ো দিয়ে মেশিন চালু করতে হবে, বাকি কাজটা মেশিনই করে দেবে।

২. ব্যবহারের সহজতা

কফি মেশিন ব্যবহার করা খুবই সহজ। বেশিরভাগ মেশিনে শুধু একটি বোতাম চাপ দিলেই কফি তৈরি শুরু হয়ে যায়। আধুনিক মেশিনগুলোতে টাইমার সেট করারও সুবিধা থাকে, যাতে আপনি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আপনার পছন্দের কফি তৈরি হয়ে থাকে।

৩. ধারাবাহিক ও নিখুঁত স্বাদ

হাতে কফি বানালে অনেক সময় স্বাদ ঠিক থাকে না। কফি মেশিন সবসময় সঠিক তাপমাত্রা এবং চাপে কফি তৈরি করে, যার ফলে কফির স্বাদ সব সময় একই রকম এবং নিখুঁত হয়।

৪. বিভিন্ন ধরনের কফি তৈরির সুযোগ

একটি ভালো কফি মেশিনে আপনি শুধু সাধারণ কফিই নয়, বরং এস্প্রেসো, ক্যাপুচিনো, ল্যাটে, আমেরিকানোর মতো বিভিন্ন ধরনের কফি তৈরি করতে পারবেন। এতে আপনার পছন্দের কফির জন্য আর ক্যাফেতে যেতে হবে না।

৫. খরচ সাশ্রয়

নিয়মিত ক্যাফেতে গিয়ে কফি পান করার চেয়ে নিজের বাসায় কফি মেশিন ব্যবহার করে কফি বানানো অনেক সাশ্রয়ী। একবার মেশিন কিনলে, দীর্ঘমেয়াদে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে।

৬. নিজের পছন্দ অনুযায়ী কফি তৈরি

আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কফির পরিমাণ, কফির গুঁড়োর ধরন এবং দুধের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এতে আপনি আপনার নিজস্ব স্বাদের কফি তৈরি করতে পারবেন।

সংক্ষেপে, কফি মেশিন শুধু একটি যন্ত্র নয়, বরং এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কফি পান করার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক, সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তোলে।

লেখকের শেষ মতামত

বিভিন্ন কোয়ালিটি এবং বিভিন্ন ব্যান্ডের কফি মেশিন বাজারে পাওয়া যায় এর মধ্যে থেকে আপনারা যেটা কিনতে চান সেটা অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে কেনার চেষ্টা করবেন। কফি মেশিন কেনার আগে আপনার প্রয়োজন, বাজেট এবং কত ধরনের কফি বানাতে চান, তা বিবেচনা করা উচিত।

এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কফি পান করার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে। এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। তো সবাই ভালো থাকবেন আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url